॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে শাহিন শেখ(১৮) নামে এক লম্পট। কিন্তু দেশে প্রচলিত আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে গত ৮ই আগস্ট সন্ধ্যায় স্থানীয়ভাবে অবৈধ শালিসের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ৯ই আগস্ট সকালে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে কথা হয় তার মায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন বাক প্রতিবন্ধী। তিনি ঢাকায় কাজ করেন। আমি আমার ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ীতে থাকি। লম্পট শাহিন ও আমাদের বাড়ী পাশাপাশি। ৪/৫দিন আগে শাহিন আমার মেয়েকে পাখি মারার কথা বলে বাড়ীর পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। এ সময় আমার মেয়ের বয়সী আরও ২/৩ জন মেয়ে সাথে ছিল। শাহিন ওই মেয়েদের জঙ্গল থেকে বাইরে বের করে দিয়ে আমার মেয়েকে উলঙ্গ করে যৌনাঙ্গে শ্যাম্পু দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আমার মেয়ের চিৎকারে ওই ২/৩ জন মেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে শাহিন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর আমার মেয়ের সাথে থাকা ওই মেয়েরা আমার কাছে এসে ঘটনাটি বলে। পরে আমার মেয়েও আমার কাছে ঘটনাটি বলে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করতে চাইলে স্থানীয় কিছু লোক আমাকে বলে শালিস করলে ভালো হবে। পরে ৮ই আগস্ট সন্ধ্যায় প্রভাবশালী একটি চক্র রহিম সরদারের বাড়ীতে শালিস করে। শালিসে শাহিনকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১০টি বেতের বারি দেওয়া হয়।
লম্পট শাহিনের মা বলেন, আমার ছেলে অন্যায় করেছে, আমরা শালিস মেনে নিয়েছি। কিছু টাকা দিয়েছি। বাকী ৩০হাজার টাকা শনিবারের মধ্যে দিয়ে দিবো।
এ বিষয়ে বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু বলেন, ঘটনাটি ছেলের বাবা আমাকে বলেছিল। কিন্তু পরে আর তারা আমার কাছে আসেনি। শালিসেও আমাকে ডাকা হয়নি। তিনি আরো বলেন, ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনা শালিসে সমাধান যোগ্য বিষয় নয়।