॥শিহাবুর রহমান॥ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) রাজবাড়ীর আয়োজনে ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন উপ-প্রকল্প ও পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কিত ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ৬ই আগস্ট রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এলজিইডি ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস ছালাম মন্ডল। এ সময় জেলা সমবায় অফিসার আবু জাফর মিঞা, রাজবাড়ী এলজিইডি’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুর রহমান, সদর উপজেলা সমবায় অফিসার সেলিনা পারভীন, পাংশা উপজেলা সমবায় অফিসার কামরুন নাহার, সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী স্বপন কুমার গুহসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা সমূহের উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা সমবায় অফিসার এবং জেলার ৩১টি উপ-প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিইডি ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস ছালাম মন্ডল বলেন, এলজিইডি ৩টি সেক্টরে কাজ করে। তার মধ্যে একটি হলো ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন উপ-প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদন করা যায়। অন্য দুইটি সেক্টরে উৎপাদনের সুযোগ নেই। বিশে^ অনেক দেশ ছিল যারা অতিরিক্ত খাদ্য তৈরী করতো। তারা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য রেখে অতিরিক্ত খাদ্য অন্য দেশে বিক্রি বা দান করে দিতো। এখন এ সমস্ত দেশের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই আমাদের বুঝতে হবে আমাদের যখন খাদ্য ঘাটতি হবে তখন টাকা দিয়েও খাদ্য কিনতে পারবো না।
তিনি বলেন, আমাদের পাশর্^বতী দেশ ভারত থেকে প্রতি বছর ১২০ কোটি টন পলি মাটি পানির সাথে আমাদের দেশে আসে। যা থেকে খুব সহজেই ফসল ফলানো যায়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এমন সহজে ফসল ফলানো যায় না। এক সময় আমাদের দেশে খাদ্যে ঘাটতি ছিল এখন কিন্তু সেটা নেই। আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরুণ করে বিদেশে রপ্তানী করতে পারবো।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম বলেন, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের(জাইকা-২) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী জেলায় ইতোমধ্যে ১০টি উপ-প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে এবং ২৯টি উপ-প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার পুরাতন ৩১টি উপ-প্রকল্পের সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সকল সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। সঞ্চয় বাড়াতে হবে। গ্রেডিং বাড়াতে হবে। লোন কার্যক্রম বাড়াতে হবে। লোন কার্যক্রম না করলে সমিতি টিকতে পারবে না। সমিতি করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।