॥রঘুনন্দন শিকদার॥ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নিদের্শনা জারীর প্রেক্ষিতে গতকাল ২১শে জানুয়ারী থেকে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দিতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করেছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি।
বিজয়ের ৪৫বছর পরে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে বলে অনেকেই খুশি হলেও নতুন করে আবার আবেদন করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নতুন করে আবেদনকারী মীর হাসিবুব জামান বলেন, বিএনপির সময়ে একবার আবেদন করে সে সময় আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারি নাই। তবে এবার নতুন করে অন্তর্ভুক্তিতে সঠিক মুক্তিযোদ্ধারা অন্তর্ভুক্ত হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান মোল্যা বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপক্ষের সরকার। বিগত জোট সরকারের সময়ে কিছু অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় প্রবেশ করেছে। সেটা যাচাই-বাছাই হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তালিকায় স্থান পাবে।
যাচাই-বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করতে এসে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান মোল্যা সাধুর স্ত্রী কোহিনুর সুলতানা বলেন, আমার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভাতা পান এবং লাল তালিকায় নাম আছে। সেক্ষেত্রে আমাকে কেন নতুন করে আবেদন করতে হবে? তিনি আরো বলেন, আমাকে এক প্রকার জোর করে অনলাইনে আবেদন করিয়েছে। সেখানে লেখা আছে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
যাচাই বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করতে আসা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান মিয়া টগর বলেন, আমি ২০১২ সাল থেকে ভাতা পাই। বাংলাদেশ গেজেটে আমার নাম রয়েছে কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কে অভিযোগ করছে সেটা জানা যায় নাই। তিনি আরো বলেন, আমাকে ভুল বুঝিয়ে আবেদন করিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম.এ মতিন ফেরদৌস বলেন, অনেক দেরীতে হলেও বর্তমান সরকার যা করছে সেটা আমাদের জন্য গর্বের।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৮৭জন অনলাইনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানিযেছেন উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ.এম রকিব হায়দার।