॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা গতকাল ১৬ই জুলাই সকালে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী,এমপি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, সদর থানার ওসি মোঃ তারিক কামাল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রমজান আলী খান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আব্দুল জলিল, বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন ও রবিউল খন্দকার মজনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহম্মদ খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর আক্তার বিউটি, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সানজিদা শাহনাজ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ কুদরত আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল হান্নান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নৃপেন্দ্র নাথ সরকার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বি.এম আসাদুজ্জামান, দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ লোকমান হোসেন, আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হাসান, বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুজ্জামান সালাম, খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম লাল, বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু, মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ মান্নান মুসল্লী, চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান একেএম সিরাজুল আলাম চৌধুরী ও খানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাহার হোসেন তকদীরসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী,এমপি ছাত্রীদের যৌন হয়রানীকারী দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জেলা শিক্ষা অফিসার(ডিপিইও) হোসনে ইয়াসমীন করিমীর প্রশাসনিক ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি রাজবাড়ীতে কোন কাজই করেন না। সকল অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন। তাকে অবিলম্বে অপসারণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর সাথে আলোচনা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী আরো বলেন, বর্তমানে রাজবাড়ীতে মাদকের ব্যবহার কমলেও এভাবে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। মাদকের সাথে জড়িতদের তালিকা তৈরী করতে হবে, যাতে কোন নিরপরাধ মানুষ হয়রানীর শিকার না হয়। মাদক নির্মূলের জন্য প্রথমে ২টি ইউনিয়নকে বেছে নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে সফল হলে পর্যায়ক্রমে রাজবাড়ীকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাকে আমি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যার কারণে প্রতিটি সভায়ই উপস্থিত থাকি। এখানে সদর উপজেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ জনগণের কথা তুলে ধরেন। তিনি আধুনিক রাজবাড়ী গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু বলেন, তার এলাকার পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ উঠেছে। চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে সে জড়িত। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়লেও ভয়ে মুখ খুলতে পারে না।
সদর থানার ওসি মোঃ তারিক কামাল বলেন, পুলিশ সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের যদি কোন সফলতা থাকে তাহলে তা উপজেলার প্রতিটি নাগরিকের, আর কাজ করতে গেলে হওয়া ভুল-ত্রুটির বা ব্যর্থতার দায় ওসি হিসেবে আমার একার।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসারকে এভাবে বদলী করলে সে অন্য জেলায় গিয়েও এসব অপকর্ম করবে। আমাদের উপর দায়িত্ব প্রদান করলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা মাঠে নেমে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিব।