॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ “স্বপ্ন দুয়ার খুুলে এসে অরুণ আলোকে”-প্রত্যয় নিয়ে রাজবাড়ী সরকারী আর্দশ মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণীর উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল ১লা জুলাই আয়োজিত অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলীপ কুমার করের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শওকত আলী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সেলিনা আক্তার, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু, ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মন্ডল, নবীন ছাত্রী কানিজ শারমিন ও রিয়া চক্রবর্তী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকের দিনটি তোমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সরকারী কলেজে ভর্তি হতে পারে না, যেটা তোমরা পেরেছো। তোমাদের বর্তমান বয়সটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখান থেকে জীবকে যেমন গঠন করা যায়, তেমনি ধ্বংসও করে দেওয়া যায়। তোমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালামের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে তোমার স্বপ্ন অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। কলেজ চলাকালীন সময়ে ক্লাসের গুরুত্বারোপ করে জেলা প্রশাসক বলেন, বাইরে যার কাছে কলেজ চলাকালীন সময়ে পড়তে যাও সে এই কলেজের চেয়ে ভালো শিক্ষক হতে পারে না। কোচিং বন্ধে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কোচিং সেন্টার বন্ধ করার জন্য। সরকার সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ করেছে। অনেক দিয়েছে। এবার আমাদের দেবার পালা। এদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য আমরা মাত্র ১৫ লক্ষ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী। আমাদের সেবার উপর নির্ভর করে বাকী মানুষ।
রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের ২য় ক্যাম্পাস নির্মাণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করে যান, আমার যেখানে সহযোগিতা লাগবে আমি সেটা করবো। কলেজটি আরো আধুনিকায়ন করা দরকার।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলীপ কুমার কর বলেন, জেলা প্রশাসক একজন কর্মবীর মানুষ। কর্মের মাধ্যমে তিনি রাজবাড়ীকে আলোকিত করে যাচ্ছেন। তোমরা তার দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য ধারণ করে আগামীতে পথ চলবে, যাতে ভালো কিছু করতে পারো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন ছাত্রীদের ক্লাস রুটিন এবং ফুল ও মৃষ্টি দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। আলোচনার শেষে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন বিভাগের নবীন ছাত্রীদের ক্লাসে ঘুরে দেখেন।