॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ‘রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প(ফেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত খুলনা শিপইয়ার্ড লিঃ(খুশিলি) কর্তৃক সম্পাদনের বিষয়ে সমন্বয় সভা গতকাল ২০শে জুন বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর আনিসুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি,বিপিএম-সেবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিবিএলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস, সিওও মোঃ আতিয়ার রহমান, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক, বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সালাম ও মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, ‘রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প(ফেজ-২)’ অনুমোদন করাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লেগে থাকতে হয়েছে। রাজবাড়ীর মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল, শহর রক্ষা বাঁধের স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের। তাদের দাবী অনুযায়ী, আমি তাদের কাছে কথা দিয়েছিলাম স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হবে। সেই প্রেক্ষিতে আজকে রাজবাড়ী শহর বাঁধের স্থায়ী করণের কাজ শুরু হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ও বরাট ইউনিয়নের অনেক এলাকা নদী ভাঙ্গনের থেকে রক্ষা পাবে। এরআগে আমি রাজবাড়ীর এমপি থাকাকালীন সময়ে প্রকল্পের ফেজ-১ এর কাজ সম্পন্ন করেছিলাম। আজকে আমিসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রকল্পের ফেজ-২ এর কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরপর আমাদের রাজবাড়ী জেলার পদ্মা নদীর উজানে পাংশা পর্যন্ত ও ভাটিতে গোয়ালন্দ পর্যন্ত ফেজ-৩ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
যার ফলে সমস্ত রাজবাড়ী জেলাই পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। আজকে রাষ্ট্রের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত খুলনা শিপইয়ার্ড লিঃ তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে, তারা অবশ্যই শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে মানসম্পন্ন কাজের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। আর এই ক্ষেত্রে খুলনা শিপইয়ার্ড লিঃ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজের মান ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা তদারকি করবে এবং জেলা প্রশাসনের প্রতি মাসের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় কাজের সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে। এখন বর্ষা মৌসুম হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্প এলাকায় যেহেতু কাজ শুরু করতে পারছে না সেহেতু আপাতত প্রকল্প এলাকার ভাঙ্গনের ঝুঁকি কবলিত সে স্থানগুলোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়া প্রকল্পের বাইরে যে সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রয়েছে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করবে। যেহেতু শহর রক্ষা বাঁধ সরকারের অনেক অর্থ খরচ করে করা হচ্ছে সেজন্য এই শহর রক্ষা বাঁধ নষ্ট হতে পারে এমন কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী আরো বলেন, রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ধাওয়াপাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার ব্যবহার করে যে বালুর পাহাড় তৈরী করা হয়েছে সেগুলো অবশ্যই সরাতে হবে। যদি কেউ এই বালুর পাহাড় না সরায় তবে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই বালুর পাহাড়ের জন্যই কিছুদিন পূর্বে বিশাল একটি অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এবং এই বালুবাহী অতিরিক্ত লোডের ট্রাক চলার কারণে রাস্তাঘাটেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। যেহেতু গোদার বাজার এলাকার পদ্মা নদীর পাড় বর্তমানে রাজবাড়ী শহরবাসীর একটি বিনোদনের স্থান হয়ে উঠেছে সেহেতু সেখানকার নদী পাড়ের ইটভাটাটি অপসারণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি রাজবাড়ী জেলার উন্নয়ন যাতে আরো ত্বরান্বিত হয় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগামী নির্বাচনে রাজবাড়ীবাসীকে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে ২য় পদ্মা সেতু না হওয়া পর্যন্ত ৯০০ কোটি টাকায় দৌলতদিয়ায় স্থায়ী ঘাট নির্মাণ প্রকল্পসহ বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারের সময় রাজবাড়ী জেলার সার্বিক উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৪০ থেকে ৪৫ বছর পার হলেও রাজবাড়ী জেলার মানুষের পদ্মা নদীর ভাঙ্গন কষ্ট লাঘব হয়নি। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্ব ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসার কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি রাজবাড়ী জেলার ভাঙ্গন প্রতিরোধে এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান সম্ভব হচ্ছে। আগে এই ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন সময় অনেক টাকা নষ্ট হলেও কার্যত কোন কাজ হয় নাই। আজকে স্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পটি সার্বিক কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তৎসঙ্গে প্রকল্প এলাকায় সৌন্দর্য্য বর্ধন ও ড্রেজিংয়ের মাটি বাঁধের রাস্তায় ব্যবহার করে রাস্তাটি আরো প্রশস্ত করা সম্ভব হবে।
সভায় খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর আনিসুর রহমান বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। যা রাষ্ট্রের উন্নয়নে সরকারের প্রদত্ত দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে পালন করতে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে খুলনা শিপইয়ার্ডের তত্বাবধানে ও নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিবিএলের মাধ্যমে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্পের(ফেজ-২) যে কাজটি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে তা অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও গুণগত মান বজায় রেখে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্প এলাকায় শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীগণ ও নৌবাহিনীর জওয়ানরা সবসময় নিয়োজিত থাকবেন। আর প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব শ্রমিক কাজ করবে তাদেরকে খুলনা শিপইয়ার্ড লেখা পোশাক দেয়া হবে। যাতে সহজেই তাদেরকে চেনা যায়। যেহেতু কাজটি বর্ষা মৌসুম শেষে শুরু হবে সেহেতু প্রকল্প এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যাতে সকল স্থাপনাই রক্ষা করা সম্ভব হয়। এছাড়াও খুলনা শিপইয়ার্ড ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্বাবধানে প্রকল্প এলাকার সৌন্দর্য্য বর্ধনে স্থায়ী বনায়ন করা হবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
প্রকল্প চলাকালীন সময়ে রাজবাড়ী জেলাবাসীসহ জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী, সংশ্লিষ্ট সরকারী বিভাগসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী তার বক্তব্যে বলেন, আজকে রাজবাড়ী জেলায় ‘রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প(ফেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে তার মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় নদী তীরবর্তী মানুষের বাড়ীঘরসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীসহ আমাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে আজকে আলোর মুখ দেখেছে। আমি আশা করবো প্রকল্পের সকল কাজের গুণগতমান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গুণগতমানের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, আজকের সমন্বয় সভায় শহর রক্ষা বাঁধ যে বালুর স্তুপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন অবস্থাতেই বাঁধের ক্ষতি করে কাউকে কোন কিছু করতে দেয়া হবে না। এছাড়াও এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর রাজবাড়ী শহরের উজান ও ভাটির যে অংশে স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধে এখনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ফেজ-৩ প্রকল্পের আওতায় নতুন ডিপিপির মাধ্যমে কাজ করা হবে। আর গোদার বাজার ঘাটে যে ইটভাটাটি সৌন্দর্য্যহানীসহ দর্শনার্থীদের বিনোদনে বিঘœ সৃষ্টি করছে সেটি অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে প্রকল্পের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
সমন্বয় সভা শেষে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের ২৭নং পূর্ব উড়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে প্রকল্পের অস্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কাজ উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
এ সময় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডিবিএলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস, সিওও মোঃ আতিয়ার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, সদর থানার ওসি মোঃ তারিক কামাল, বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সালাম, মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প(ফেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্পের ৩২৯ কোটি টাকার একটি ডিপিপি একনেক কর্তৃক ২০১৭ সালের ১লা আগস্ট অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের আওতায় ৪.৫০০ কিলোমিটার পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ এবং ৪.৭০০ কিলোমিটার পদ্মা নদীর ড্রেজিং কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ চলবে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিঃ এর মাধ্যমে ডিপিএম পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবটি ১৮/০৪/২০১৮ইং তারিখে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে এবং ৩১/০৫/২০১৮ইং তারিখে পারফরমেন্স গ্যারান্টি প্রদান করে। ০৭/০৬/২০১৮ইং তারিখে কন্ট্রাক্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় এবং ঠিকাদার কর্তৃক ২০/০৬/২০১৮ইং তারিখ হতে অস্থায়ী জরুরী প্রতিরক্ষার কাজ শুরু হওয়াসহ শুকনো মৌসুমে স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।