শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ী জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে কৃষি ঋণ বিতরণের জেলা প্রশাসকের আহ্বান

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২৪শে মে সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভা জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কমিটির সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, কমিটির সদস্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ আব্দুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আশেক হাসান, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের যুগ্ম-পরিচালক ইসমেৎ ক্বয়েস, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, ইসলামী ব্যাংক রাজবাড়ী শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট মুন্সী রেজাউর রশীদসহ বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নারয়ণগঞ্জ, গাজীপুরের মতো জেলাগুলো শিল্প নির্ভর হলেও রাজবাড়ী জেলা মূলত একটি কৃষি নির্ভর জেলা। এই জেলায় পাট, পিঁয়াজ, ধানসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল দেশের মোট উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ উৎপাদিত হয়। আবার কৃষির পাশাপাশি রাজবাড়ীতে প্রায় এক হাজার দুগ্ধ খামারসহ বিভিন্ন ধরনের খামারী রয়েছে। যা বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সবগুলো খামার একত্রিত করলেও এতগুলো খামার হবে না। যার কারণে রাজবাড়ী জেলায় একটি দুগ্ধ সংগ্রহ সেন্টার করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণসহ এক একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যাতে দুগ্ধ খামারীরা তাদের দুধের প্রকৃত মূল্য পায় ও এই ধরনের খামার প্রতিষ্ঠায় আরো উদ্যোগী হয়। এছাড়াও এই জেলায় প্রচুর পরিমানে মৎস্য খামরী রয়েছে। এই সকল কৃষক ও খামারীদের দিকে লক্ষ্য রেখে জেলার প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংকেরই উচিত সরকারের বাধ্যতামূলক কৃষি কর্মসূচীর আওতায় সহজ শর্তে কৃষকদের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণ করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনেক সরকারী-বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা ভিত্তিক কৃষি ঋণ বিতরণের কথা থাকলেও হেড অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজুহাত দেখিয়ে সেই বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। আবার ডাচ বাংলা ব্যাংক ও ইউসিবি ব্যাংক জেলায় কোন প্রকার কৃষি ঋণ বিতরণই করছে না। যা অত্যন্ত দূঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, জেলায় যে সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তারা প্রত্যেকে জেলার কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যে সব বাণিজ্যিক ব্যাংক সরকারের নির্দেশনা না মেনে কৃষি ঋণ প্রদান করছে না তাদের ব্যাপারে আরো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। তিনি সকলকে জেলা কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!