॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আওয়ামী লীগ এবং দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি বিএনপি এবং জোটের শরীক দল জামায়াতের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিচার্স ইনস্টিটিউট(আইআরআই) কর্তৃক প্রকাশিত এক জরীপ রিপোর্টে এই দাবী করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের সাফল্য আর দলের প্রধান শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন লাভে সক্ষম হবে।
অপরদিকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং জঙ্গীবাদের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে বিএনপি এবং শরীক দল জামায়াতকে প্রচন্ড প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হবে। দেশে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং দুর্নীতির কারণে জনমনে কিছুটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও বেশীর ভাগ জনগণ তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করছে না।
আইআরআই’র পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশী জনগণের আওয়ামী লীগ এবং দলের প্রধান শেখ হাসিনার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ও ব্যক্তিগত ভালোবাসা রয়েছে। তাদের এই আদর্শভিত্তিক আবেগপ্রবণ ভালোবাসার পেছনে দু’টি কারণ লক্ষ্য করা গেছে। এর একটি হচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়ন এবং অপরটি হচ্ছে শেখ হাসিনা ও তার দলের ইতিহাস। আর এই দুইয়ের সমন্বয়ই তৈরী করেছে আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের টেকসই সমর্থন।
জরীপ রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে তিনি দেশবাসীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া জরীপে অংশগ্রহণকারীরা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার বিস্তার, নেতৃত্ব এবং ব্যক্তিগত শিক্ষা ও দেশপ্রেমের জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে খুলনার একজন শেখ হাসিনা সম্পর্কে এক মন্তব্যে বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য তিনি শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন ও শ্রদ্ধা করেন।
ময়মনসিংহের একজন নারী বলেন, দরিদ্রদের পাশে থাকার জন্য তিনি শেখ হাসিনাকে তাকে পছন্দ করেন। অপর এক নারী বলেন, শেখ হাসিনা মানে বঙ্গবন্ধু, আর বঙ্গবন্ধু মানে মুক্তিযুদ্ধ।
অপরদিকে বিএনপি এবং জামায়াতের ভিন্নচিত্র ফুটে উঠেছে। জরীপে বলা হয়, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দুর্নীতি এবং জামায়াতের স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে এ দু’টি দলের জনপ্রিয়তা কমেছে।
বিএনপি ও খালেদা জিয়া সম্পর্কে জরীপে অংশগ্রহণকারী কিছু সংখ্যক উত্তরদাতা খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তাদের একজন বলেন, বিএনপি মানেই খালেদা জিয়া। বিএনপিতে কোন গণতন্ত্র নেই। তারেক রহমানের আদেশ দলকে মেনে চলতে হয়। শেখ হাসিনার ছেলে উচ্চ শিক্ষিত। অপরদিকে খালেদা জিয়ার ছেলে স্বল্প শিক্ষিত। খুলনার এক নারী বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। আমি যখনই বিএনপির কথা শুনি, তখনই ভীতসন্ত্রস্ত হই।
জরীপে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই জামায়াত সম্পর্কে মন্তব্যে বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোন ইসলামী দল নয়। তাদের কর্মকান্ড ইসলামিক নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। বর্তমানে দেশ ভালো চলছে। প্রতিটি সেক্টরে নারীর অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ জামায়াত রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে নারীর প্রতি অবজ্ঞা করা হবে। জামায়াত একটি পাকিস্তানী রাজনৈতিক দল। তারা অপরাধী, সাম্প্রদায়িক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা করে না। আইআরআই ২০১৭ সালের গ্রীস্মকালে এই জরীপ চালিয়েছে। তথ্য সুত্র ঃ বাসস।