॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ীতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চাকুরী দেয়ার কথা বলে সোয়া দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে হাবিব শেখ ওরফে রনি(২৮) নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ১৮ই এপ্রিল রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ গ্রামের মজিবুর রহমান(৫২) বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরআগে গত ১৬ই এপ্রিল সকালে ওই প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। সে গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী শেখের ছেলে।
জানাযায়, মজিবুর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন(২৪) এর সাথে ঢাকায় এক বাসায় থাকতো হাবিব শেখ ওরফে রনি। সেখান থেকে তাদের পরিচয় ও সুম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের জেরে হাবিব বানিবহ গ্রামে মজিবুর রহমানের বাড়ীতে বেড়াতেও আসে। বেড়াতে এসে সে জানায় বিভিন্ন সরকারী অফিসে বড় বড় অফিসারের সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। মন্ত্রণালয়সহ যেকোন ধরনের চাকুরী সে দিতে পারে। ভূমি মন্ত্রণালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর একটি নিয়োগ আছে। রুহুল আমিনকে সে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চর্তুথ শ্রেণীর চাকুরী দিতে পারবে। এজন্য টাকা দিতে ৫লক্ষ টাকা। তার কথা বিশ^াস করে মজিবুর রহমান রাজী হয়।
গত ২৮শে জানুয়ারী হাবিব শেখ মোবাইলে মজিবুর রহমানকে জানায় চাকুরী প্রক্রিয়া অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৭ই মার্চ ১লক্ষ টাকা দিতে হবে। এই কথা বলে সে গত ৭ই মার্চ দুপুরে বানীবহতে এসে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি আবেদনপত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র দিয়ে মজিবুর রহমানের কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এরপর গত ১৮ই মার্চ সে জানায় চাকুরীর যোগদানপত্র পাওয়া গেছে আগামীকাল আরো ৫০হাজার টাকা লাগবে। এর দুইদিন পর গত ২০শে মার্চ বিকেলে বানিহতে এসে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একখানা যোগদানপত্র দিয়ে মজিবুর রহমানের কাছ থেকে আরো ৫০হাজার টাকা নিয়ে যায়। এরমধ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা বাবদ সে আরো ৭০হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে গত ১৬ই এপ্রিল সকালে সে বানীবহে এসে মজিবুর রহমানকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চাকুরীর যোগদান পত্র দিয়ে অবশিষ্ট টাকার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু তার দেয়া যোগদানপত্রটি সঠিক মনে না হলে মজিবুর রহমান স্থানীয় লোকজনকে দেখান। পরবর্তীতে সেটি ভূয়া জাল যোগদানপত্র প্রতিয়মান হওয়ায় স্থানীয় লোকজন হাবিব শেখকে আটক করে। পরে তাকে রাজবাড়ী সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় মজিুবর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল ১৯শে এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে হাবিব শেখকে কারাগারে পাঠানো হয়।