॥মোক্তার হোসেন॥ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিকদের ন্যূনতম ১০হাজার টাকা মজুরীসহ ৭দাফা দাবীতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বরাবর লিখিত স্মারকলিপি গত ২৮শে মার্চ দুপুরে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কাছে পেশ করেছেন বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়ন পাংশা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
জানাযায়, স্মারকলিপি প্রদানের সময় সংগঠনের উপদেষ্টা ইদ্রিস আলী বাবু, সভাপতি মৃণাল কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক বাবলু বিশ্বাসসহ রিপন শেখ, আবুল কালাম আজাদ, শরিফুল ইসলাম, শ্রী সুবোধ সরকার, মিঠন ও আতর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ জানান, হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিকরা দেশের শ্রম আইনের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেও ন্যায় সংগত মজুরী থেকে বঞ্চিত এসব শ্রমিকরা। এখনও ৪/৫হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরীতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে শ্রমিকরা। এমনকি দোকানের কাপ-প্রিজ ভাঙলে মজুরী থেকে কেটে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত কাজের মজুরী ছাড়াই শ্রমিকরা দৈনিক ১২/১৩ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। শ্রম আইন ২০০৬ এর ৫ধারা মোতাবেক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদান বাধ্যতামূলক। মালিকরা কোনো ধারাই মানছেন না। এসব কারণে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা মজুরীসহ ৭দাফা দাবীতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে প্রদত্ত অন্যান্য দাবীসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবীসমূহ হচ্ছে-চিকিৎসাভাতা প্রতি মাসে ১৫শত টাকা, যাতায়াত ভাতা ১৫শত টাকা, ঘরভাড়া সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মূল মজুরীর ৬০%, জেলা শহরে ৫৫%, থানা শহরে ৫০% হারে প্রদান করতে হবে। প্রতি বছর প্রত্যেক শ্রমিককে ১৫% হারে ইনক্রিমেন্ট ও বাজারদরের সাথে মজুরী সমন্বয় করতে হবে। শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী ৫ধারা মতে নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র, ৬ধারা মতে সার্ভিস বই, ১০৩ ধারা মতে সপ্তাহে দেড় দিন, এছাড়া অন্যধারায় বছরে ১০দিন, নৈমিত্তিক, ১৪দিন অসুস্থ্য জনিত ছুটি ও ১১দিনের মজুরীসহ উৎসাহ ছুটি প্রদান করতে হবে।