॥পাংশা প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল ফের অশান্ত হয়ে উঠছে। গত ১৮ই মার্চ রাতে সন্ত্রাসীরা সরিষা ও কলিমহর ইউপিতে তান্ডব চালিয়েছে। কলিমহর ইউপির হোসেনডাঙ্গা গ্রামে চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডবে ফরহাদ হোসেন(২৮) ও তার মা আমেনা বেগম(৬৫) গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাযায়, গত ১৮ই মার্চ রাত পৌনে ১২টার দিকে ১৫/২০ জনের অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দল পানি খাওয়ান কথা বলে বিলসারিন্দা ব্রিজের অদূরে হোসেনডাঙ্গা গ্রামের মৃত ছানোয়ার মন্ডলের বাড়ীতে গিয়ে তার ছোট ছেলে ফরহাদ হোসেনকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। ঘরের দরজা খুলে ফরহাদ বের হওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙ্গে দেয়। এলোপাতাড়ি পিটুনীতে ফরহাদ হোসেনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা-ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তার মাথায় ৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ সময় ফরহাদের মা আমেনা বেগম সন্ত্রাসীদের কবল থেকে ফরহাদ হোসেনকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা বৃদ্ধা আমেনা বেগমকেও মারধর করে। আমেনা বেগমের মাথার ডান দিকে, দুই হাতের আঙ্গুল ও ডান হাতের কবজিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা-ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়েছে। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরহাদ হোসেনের ভাই মোক্তার হোসেন জানান, সন্ত্রাসীদের কারো কারো মুখোশ পরা ছিল। তান্ডব চালিয়ে বাড়ী থেকে ফিরে যাওয়ার সময় দুই লাখ টাকা পাঠানোর কথা বলে যোগাযোগের জন্য ১টি মোবাইল ফোন নম্বর লিখে দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা ২রাউন্ড গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। আহত ফরহাদ হোসেন রাজবাড়ী রেলওয়ের একজন কর্মচারী। ঘটনার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সে রাজবাড়ী থেকে হোসেনডাঙ্গা নিজ গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এছাড়াও একই রাতে সন্ত্রাসীরা সরিষা ইউপির পালেরডাঙ্গী গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়ীতে হানা দেয়। আবুল কাশেমকে বাড়ীতে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা ফেরার পথে কয়েকজনের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে জানান সরিষা ইউপির চেয়ারম্যান ও সরিষা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল আল বাহার বিশ্বাস। চিহ্নিত সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।