॥রঘুনন্দন সিকদার॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির সেই পাগলী শিল্পী ওরফে শাবনুর (২০)কে শিশু সন্তানসহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল ১২ই মার্চ সকাল ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা, বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ হাসিনা বেগম ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস.এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ তাদেরকে হস্তান্তর করেন। পরিবারের পক্ষে পাগলীর মা আইজল বেগম এবং দুই চাচা লুৎফর রহমান ও আজিজার রহমান তাদেরকে গ্রহণ করেন।
এ সময় বালিয়াকান্দি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অজয় কুমার হালদার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারুক হোসেন এবং এস.আই নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৮ই মার্চ বিকালে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসবের পর থেকে পাগলী ও তার সন্তান পুলিশের পাহারায় ছিল। বালিয়াকান্দি থানার ওসি হাসিনা বেগম পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করেন এবং পাগলীর ও নবজাতকের চিকিৎসাসহ যাবতীয় খরচ বহন করেন।
গতকাল সোমবার সকালে তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর রাজবাড়ীতে নিয়ে ট্রেনে তুলে দেয়া পর্যন্ত যাতায়াত ভাড়াও তিনি বহন করেন এবং পাগলী ও তার বাচ্চার জন্য নতুন কাপড়-চোপড় কিনে দেন।
এরআগে গত ৯ই মার্চ দুপুরে রাজবাড়ীর নবাগত পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পাগলী ও তার শিশুকে দেখতে যান। তিনি বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে আদর করেন এবং চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এছাড়াও তিনি পাগলীর সঠিক পরিচয় উদঘাটনসহ সুব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পুলিশী পাহারা অব্যাহত রাখার কথা জানান।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাস ধরে শিল্পী ওরফে শাবনুর নামের ওই পাগলী অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থায় বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের মধুপুর তিন রাস্তার মোড়ের একটি পরিত্যক্ত ঘরে থাকতো। গত বৃহস্পতিবার বিকালে নারুয়া গ্রামের রূপালী বেগম নামের এক নারী তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। বাচ্চাটির প্রতি নিঃসন্তান অনেকেরই লোভ থাকায় চুরি হওয়ার আশংকায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে বালিয়াকান্দি থানার ওসি হাসিনা বেগম সেখানে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করেন।