॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ রাজবাড়ী জেলা শাখার এক কর্মী সমাবেশ গতকাল ২০শে জানুয়ারী বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি ফরিদ আলী মোল্যার সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এডঃ আসাদুজ্জামান দুর্জয়।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি উর্মি জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোন্দকার, কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ নাদিম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হোসেন, হাসিবুল রহমান শান্ত প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা শাখার সহ-সভাপতি শামিমা আক্তার মুনমুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত দেশে পরিণত করার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এখন বিশ্ববাসী শ্রদ্ধার সাথে সম্মান করেন। আওয়ামী লীগের জন্য আমার পরিবারের অনেক ত্যাগ রয়েছে। আমার মরহুম চাচা এডঃ ওয়াজেদ আলী চৌধুরীকে সবাই শ্রদ্ধা করে। আওয়ামী লীগের জন্য আমার পরিবার নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও আমি আমার জীবনের চাওয়া-পাওয়া উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবো। আগামী নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও তার সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ঠিকানা হওয়া উচিত জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক। আমরা যারা লীগ শব্দ ব্যবহার করি তাদেরকে মনে রাখতে হবে আমাদের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের প্রশংসা করে বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশব্যাপী তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশংসার দাবী রাখে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে এডঃ আসাদুজ্জামান দুর্জয় বলেন, ১১বছরের পথ চলায় আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমানে তার পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এক এগারোর পরবর্তী সময়ে প্রজন্ম লীগ যেভাবে ভূমিকা রেখেছে, তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসর দাবীতেও সোচ্চার থেকেছে।