॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল ১০ই জানুয়ারী বিকালে শহরে বর্নাঢ্য আনন্দ র‌্যালী ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে আনন্দ র‌্যালীটি বের হয়ে রাজবাড়ী বাজার প্রদক্ষিণ শেষে শহরের রেলগেটস্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি চত্বরে পথ সভায় মিলিত হয়।
রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ মোঃ উজির আলী শেখের সভাপতিত্বে পথ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নবনিযুক্ত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী(কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এমপি।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহম্মদ আলী চৌধুরী, সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ শফিকুল হোসেন সফিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডঃ উমা সেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ অহিদুজ্জামান অহিদ, রাজবাড়ী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা শেখ আলমগীর হোসেন তিতু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি।
পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, আজ ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারী। ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে এসেছিলেন। ৯মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় পাকিস্তানীরা তাকে বন্দী করে রেখে তার উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোন চাপের কাছে মাথা নত করেন নাই। যখন তাকে মেরে ফেলার যড়যন্ত্র চলছিল তখন তিনি তাদেরকে বলেছিলেন, আমাকে যদি তোমরা মেরে ফেল তবে আমার লাশটা বাঙালীর কাছে দিয়ে দিও। তিনি আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলেই আজকে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এ জন্য আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যখন যে দায়িত্ব দেয়া হবে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। এছাড়াও তিনি তাকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়ায় রাজবাড়ী জেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং দায়িত্ব পালনকালে দেশের বেকারত্ব সমস্যা দূর করতে কারিগরি শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেবেন বলে উল্লেখ করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, সহ-সভাপতি ও জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ গনেশ নারায়ণ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিঃ আমজাদ হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী আনন্দ শোভাযাত্রা ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন।