॥রফিকুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী গতকাল ৮ই ডিসেম্বর বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পল্লী বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেন।
মিজানপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি আসাদুজ্জামান নাজমুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ সফিকুল হোসেন সফিক, গঙ্গাপ্রসাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন দুলাল, মিজানপুর ইউনিয়ন(মধ্যাঞ্চল) আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নজর মওলা নজো, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান মিলন, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জহির মন্ডল, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক-১ সালাম আল মাসুদ মিয়া ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বাবর আলী মিয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং অন্যান্যের মধ্যে মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন সিকদার বাবলু, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ, গঙ্গাপ্রসাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাদেব চন্দ্র, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম(শহিদ মাস্টার) প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় মিজানপুর ইউনিয়ন(মধ্যাঞ্চল) আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মোল্লা, মিজানপুর ইউনিয়ন(পূর্বাঞ্চল) আওয়ামী লীগের সভাপতি রওশন আলী মাস্টার এবং মিজানপুর ইউনিয়ন(পশ্চিমাঞ্চল) আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রদীপ করসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীগণ ও গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মিজানপুর ইউনিয়ন(মধ্যাঞ্চল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাঈদ ইবনে রাজীব।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬লক্ষ ৫৪হাজার ৫শত টাকা ব্যয়ে গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামে নির্মিত ১.১০৩ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইনের আওতায় ৫৩জন গ্রাহক (আবাসিক-৫১, বাণিজ্যিক-১ ও সিআই-১) পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের সুবিধা পেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। পুরাতন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উন্নয়নের পাশাপাশি অনেক নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন। সেটি নির্মিত হলে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তাতে আমাদের পুরো চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকবে। খাদ্যের মতোই বিদ্যুতেও আমরা অচিরেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো। অথচ বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় বিদ্যুতের অভাবে অনেক শিল্প ও কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দেশবাসীকে লোডশেডিংয়ের অসহনীয় যন্ত্রণা পোহাতে হতো। তারা শুধুই লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। সন্ত্রাস, অরাজকতা বেড়ে গিয়েছিল। মানুষ সবসময় আতংকের মধ্যে বসবাস করতো। বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসলে আবারও হত্যা-লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করবে। দেশ অন্ধকারে ডুবে যাবে। জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। এ জন্য আগামীতেও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করতে হবে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কোন বিকল্প নাই। তার ভিশন অনুযায়ী অবশ্যই আমরা পর্যায়ক্রমে মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে উন্নত দেশে পরিণত হবো। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই ভয়াবহ জঙ্গীবাদী হামলা হচ্ছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে আমরা দেশ থেকে জঙ্গীবাদ অনেকাংশেই নির্মূল করতে পেরেছি। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় বয়ষ্ক, মাতৃত্বকালীন ও বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা দিচ্ছে। এসএসসি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিচ্ছে। রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ শান্তিতে রয়েছে। কিন্তু বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় আসলে এই শান্তি আর থাকবে না। তাই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।