রাজবাড়ী জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা গতকাল ২৯শে নভেম্বর বিকেল ৪টায় জেলা ও দায়রা জজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হকের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ছাদেকুর রহমান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডঃ এম.এ খালেক, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ গনেশ নারায়ণ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডঃ এটিএম মোস্তফা মিঠু, সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মিয়া ও উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সহকারী জজ ইসরাত জাহান। এ সময় সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি এমওসিএস ডাঃ কাজী শফিউল আজম শুভ, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মহিবুল হাসান, যুগ্ম-জেলা জজ-২ আদালতের বিচারক মোঃ লুৎফর রহমান শিশির, সিনিয়র সহকারী জজ কায়ছুন্নাহার সুরমা, জেল সুপার মোঃ আনোয়ারুল করিম, জজ কোর্টের পিপি এডঃ উজির আলী শেখ, যশাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম এবং এনজিও ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি নেফাজ উদ্দিনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হক বলেন, জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি হচ্ছে এমন একটি কমিটি যার মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ মানুষ যাদের মামলা চালানোর মতো সামর্থ্য নাই সে সব অসহায় দুঃস্থ মানুষের মধ্যে আইনী সহায়তা প্রদান করার জন্য কাজ করে। সেই লক্ষ্যে উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। রাজবাড়ী জেলার ৪২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৬টি ইউনিয়নে লিগ্যাল এইড কমিটি ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে। আর যে সব কমিটি এখনও গঠিত হয় নাই সেসব কমিটি স্বল্প সময়ের মধ্যে গঠিত হবে বলে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি আশা করে। যেহেতু উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য-সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেহেতু তারা যাতে পর্যায়ক্রমে মাসিক মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করে ও তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করব। প্রয়োজনে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা পর্যায়ক্রমে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করা হবে।