Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পাংশার শতবর্ষের বহলাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত

॥আহমেদ হুসাইন আকাশ॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯০৬ সালে স্থাপিত হয়। শতবর্ষের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়টি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিদ্যালয়ের পেছন দিয়ে প্রবাহিত চত্রা নদীতে ধ্বসে পড়েছে বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবনের ১টি কক্ষ। ভবনের অপর কক্ষগুলির পেছনের অংশও চত্রার ভাঙনের হুমকীর মুখে পড়েছে।
একদিকে চত্রা নদীর ভাঙন অপরদিকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিদ্যালয়টি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে পাকা সড়ক যেন দুর্ঘটনার ফাঁদ। সড়কদিয়ে চলাচলকারী নানা যানবাহনের ধাক্কা খেয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। গত সপ্তাহে বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির সোমাইয়া খাতুন নামের একজন ছাত্রী বিদ্যালয়ের সন্মুখ সড়কে দ্রুতগামী মোটর সাইকেলের চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। পেছনে নদী, সামনে সড়ক এরই মাঝে সীমানা প্রাচীর বিহীন অবস্থায় ৪শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওমর আলী জানান, ১৯০৬ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে। টিনশেড ভবনের ১টি কক্ষ চত্রা নদীতে ধ্বসে পড়েছে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে নির্মিত একতলা ভবনটির অবস্থাও ভালো না। বৃষ্টি হলে টিনশেড ঘর ও একতলা ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। বৃষ্টির সময় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আসবাবপত্র রক্ষা করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। পরিত্যক্ত টিনশেড ভবনের স্থলে নতুন ভবন, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ খুবই জরুরী বলে জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক ওমর আলী আরো জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ৮জন শিক্ষকের আপ্রাণ প্রচেষ্টা রয়েছে। এখানে ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর একাধিক শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করেছে।
পাংশা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ বছির উদ্দিন জানান, এ অর্থ বছরে ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে বহলাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েও সীমানা প্রাচীর ও গেট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বহলাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান তিনি।