Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা॥রাজবাড়ী জেলায় পরীক্ষার্থী ২১৮৫৪জন

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আজ ১৯শে নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। রাজবাড়ী জেলায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ২১হাজার ৮শত ৫৪জন। তার মধ্যে ২০হাজার ৩শত ৩৭জন প্রাথমিক এবং ১হাজার ৫শত ১৭জন ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী। প্রাথমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৯হাজার ৭শত ৮৪জন ছাত্র এবং ১০হাজার ৫শত ৫৩জন ছাত্রী। অপরদিকে ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮শত ৬১জন ছাত্রী এবং ৬শত ৫৬জন ছাত্রী। এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২জন ইংরেজী ভার্সনের পরীক্ষার্থী।
উপজেলা ভিত্তিক পরীক্ষার্থীদের হিসাবে সবচেয়ে বেশী পরীক্ষার্থী রাজবাড়ী সদর উপজেলায়, যার সংখ্যা ৬হাজার ৮শত ২৬জন। এরমধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষার্থী ৬হাজার ৩শত ৫৫জন (৩হাজার ১৯জন ছাত্র ও ৩হাজার ৩শত ৩৬জন ছাত্রী এবং ১০জন ইংরেজী ভার্সনের পরীক্ষার্থী) এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী ৪শত ৭১জন (২শত ৭৮জন ছাত্র ও ১ শত ৯৩জন ছাত্রী)।
পাংশা উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ১শত ১৯জন, যার মধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষার্থী ৪হাজার ৬শত ৩৮জন (২হাজার ২শত ৯২জন ছাত্র ও ২হাজার ৩শত ৪৬জন ছাত্রী) এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী ৪শত ৮১জন (২শত ৫৮জন ছাত্র ও ২শত ২৩জন ছাত্রী)।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৪হাজার ৪৪জন, যার মধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষার্থী ৩হাজার ৮শত ১৬জন (১হাজার ৮শত ৫৮জন ছাত্র ও ১হাজার ৯শত ৫৮জন ছাত্রী এবং ২জন ইংরেজী ভার্সনের পরীক্ষার্থী) এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী ২শত ২৮জন (১শত ২১জন ছাত্র ও ১ শত ৭জন ছাত্রী)।
গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ২হাজার ৬শত ৫৪জন, যার মধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষার্থী ২হাজার ৫শত ২৪জন (১হাজার ১শত ৯৫জন ছাত্র ও ১হাজার ৩শত ২৯জন ছাত্রী) এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী ১শত ৩০জন (৭৮জন ছাত্র ও ৫২জন ছাত্রী)।
কালুখালী উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৩হাজার ২শত ১১জন, যার মধ্যে প্রাথমিক পরীক্ষার্থী ৩হাজার ৪জন (১হাজার ৪শত ২০জন ছাত্র ও ১হাজার ৫শত ৮৪ জন ছাত্রী) এবং ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী ২শত ৭ জন (১শত ২৬জন ছাত্র ও ৮১জন ছাত্রী)।
রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলাতে প্রাথমিকের ইংরেজী ভার্সনের কয়েকজন করে পরীক্ষার্থী থাকলেও অন্য ৩টি উপজেলাতে (পাংশা, গোয়ালন্দ ও কালুখালী) ১জনও নেই।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো ঃ প্রাথমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জেলাসহ সকল উপজেলাতেই ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বেশী। এর মধ্যে জেলায় ব্যবধান ৭শত ৬৯জন, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ব্যবধান ৩শত ১৮জন, পাংশা উপজেলায় ব্যবধান ৫৪জন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ব্যবধান ১শত জন, গোয়ালন্দ উপজেলায় ব্যবধান ১শত ৩৪জন এবং কালুখালী উপজেলায় ব্যবধান ১শত ৬৪জন।
জেলার মোট ৫৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে এবারের পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ২০টি রাজবাড়ী সদর (সূর্যনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিলিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বক্তারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুকুন্দিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলাদিপুর আরসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভবদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খানখানাপুর মিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুপুর ছকিরননেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেথুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বসন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানীবহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মূলঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুলতানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজার পাঠশালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষ্মীকোল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, টাউন মক্তব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেলগাছি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়), ১৩টি পাংশা (পাংশা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাংশা প্রপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাবাসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাচারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, যশাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রেমটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাজুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাদুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কশবামাজাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাট্টাজোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাগদুলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়), ৮টি বালিয়াকান্দি (বালিয়াকান্দি মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজধরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামদিয়া বালক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাজবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়), ৫টি গোয়ালন্দ (কেকেএস শিশু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৌধুরী মাহাবুব হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবালিয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজানচর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জামতলা হাইস্কুল) এবং ৯টি কালুখালী উপজেলাতে (রতনদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এ.জেড.এম ছাকেন উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাগজানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাজবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৃগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাউয়াখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়) অবস্থিত। ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কোন পরীক্ষা কেন্দ্র নেই। উল্লেখিত ৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১টি কেন্দ্রে তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। অবশিষ্ট ১৪টি কেন্দ্রে কোন ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী নেই। নির্বিঘেœ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সুত্রে জানাগেছে, আগামী ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৭হাজার ২শত ৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সারা দেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন। এদের মধ্যে প্রাথমিকে ৯৫৩ জন এবং ইবতেদায়ীতে ৩৭৯ জন ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন(প্রতিবন্ধী/অটিস্টিক)’ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এই শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট করে সময় দেওয়া হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এবার পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরীক্ষা শুরুর ৫মিনিট আগে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করবে এবং এ সময় কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে গত বছর থেকে দেশের ৬৪টি জেলাকে বিশেষ ৮টি অঞ্চলে ভাগ করে ৮সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে প্রাথমিক ও ইবেতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নিচ্ছে সরকার। পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং দুর্গম এলাকার ২০৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে।