॥আবুল হোসেন॥ ফেরী স্বল্পতার কারণে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরী হয়েছে। গতকাল ১১ই নভেম্বর বিকেল পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গাড়ীর তিন কিলোমিটার লম্বা লাইন তৈরী হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেরী স্বল্পতার পাশাপাশি দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটের কাছে ড্রেজিং করায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সুত্র জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরীর মধ্যে ১৫টি চলছিল। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যান্ত্রিক ক্রটির কারণে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও রজনীগন্ধা ফেরী ২টি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও ২ দিন আগে থেকে শাপলা-শালুক ফেরী ২টি বিকল হয়ে রয়েছে। সেগুলো এখনো ঠিক হয়নি।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ কিছুদিন ধরে দৌলতিদয়া ও পাটুরিয়া ঘাটের কাছে খনন কাজ শুরু করেছে। পাটুরিয়া ঘাটের ওয়ানওয়ে চ্যানেল তৈরী করায় চ্যানেলে ফেরী প্রবেশকালে বিপরীত দিক থেকে আরেকটি ফেরী পাশাপাশি চলতে পারে না। বিধায় চ্যানেলে থাকা ফেরী চ্যানেলের বাইরে না আসা পর্যন্ত আরেকটি ফেরীকে অপেক্ষা করতে হয়। এ কারণে চ্যানেলে প্রবেশের জন্য বা গাড়ী লোড-আনলোডে অতিরিক্ত প্রায় ১৫ থেকে ২০মিনিট করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ফেরীগুলোর ট্রিপের সংখ্যাও কমে গেছে। এতে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হওয়ায় উভয় ঘাটে গাড়ী আটকা পড়ছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরী হয়েছে। আটকে থাকা গাড়ীর যাত্রী ও চালকেরা জানান, সাধারণত যাত্রীবাহী বাসকে ৩/৪ ঘন্টা লম্বা লাইনে আটকে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ীকে অন্তত ১০ থেকে ১৬ ঘন্টা করে আটকে থাকতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, দুই ঘাটের কাছে খননের কারণে লোড-আনলোডে সময় বেশী লাগছে। এতে ফেরীর ট্রিপ সংখ্যা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফেরীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় উভয় ঘাটে গাড়ী আটকা পড়ছে।
ড্রেজিং করায় যানবাহন পারাপার ব্যাহত॥ফেরী স্বল্পতায় দৌলতদিয়া ঘাটে গাড়ীর লম্বা লাইন
