Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী জেলার নিজস্ব ঐতিহ্যের আলোকে জেলা ব্র্যান্ডিং কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে — জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই) প্রকল্পের সহযোগিতায় গতকাল ৮ই নভেম্বর সকাল ১০টায় জেলা ব্র্যান্ডিং বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ছাদেকুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় জেলা ব্র্যান্ডিং বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান।
কর্মশালার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী তার বক্তব্যে বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার প্রতিটি জেলার তার নিজস্ব ঐতিহ্যের আলোকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পরিচিত করার লক্ষ্যে জেলা ব্র্যান্ডিং এর উপর বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি, পর্যটন শিল্প, ঐতিহাসিক স্থানসমূহ দেশের ন্যায় বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজবাড়ী জেলার উপর দিয়ে আশি কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যেহেতু পদ্মা নদী রয়েছে সেহেতু রাজবাড়ী জেলা ব্রান্ডিং পদ্মা কেন্দ্রীক হওয়াটাই স্বাভাবিক। সে দিকটিকে বিশেষ বিবেচনা করে রাজবাড়ী জেলার ব্র্যান্ডিং নাম ‘পদ্মা কন্যা রাজবাড়ী’ করা হয়েছে। এছাড়াও এই ব্র্যান্ডিং এর আওতায় রাজবাড়ী জেলার কৃষি ক্ষেত্রে সারা দেশের ১৫% পাট, ১৩% পিয়াজ ও ৮% ডাল উৎপাদন করে সেই সব বিষয়সহ এ জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহ, বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির পরিচিতি, রাজবাড়ী বিখ্যাত চমচম, শংকরের চানাচুরসহ যে সমস্ত জিনিস পাওয়া যায় সেই বিষয়গুলো জেলা ব্র্যান্ডিং এর ওয়েবসাইটে ও বইতে তুলে ধরা হবে। যাতে দেশী-বিদেশী পর্যটক ও সাধারণ মানুষ এই জেলার সম্পর্কে জানতে পারে।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, রাজবাড়ী জেলা স্বাধীনতার পূর্ব থেকে অনেক ঐতিহ্যের অধিকারী। তদানীন্তন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার পাঁচটি মহকুমার মধ্যে একমাত্র রাজবাড়ী জেলার সাথে স্বাধীনতার পূর্বে ভারতের কোলকাতার সাথে স্টীমার ও রেল যোগাযোগ ছিল। এছাড়াও এই জেলায় ড.কাজী মোতাহার হোসেন, মীর মশাররফ হোসেন, আবু হেনাসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন। যাদের নাম বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়েছে। জেলা ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে এই সকল বিষয় তুলে ধরতে পারলে বাংলাদেশ ও বিশ্ব দরবারে এই জেলা নিজস্ব ভাবে পরিচিত হবে এবং ভবিষ্যতে পদ্মা কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার মাধ্যমে সরকার এই জেলার উন্নয়নে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে।