সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন হাটি হাটি পা-পা করে রাজবাড়ী জেলার গণমানুষের মুখপত্র দৈনিক মাতৃকণ্ঠ আজ ৩০শে অক্টোবর ১৪তম বর্ষে পদার্পন করল। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃত দৈনিক মাতৃকণ্ঠের ১৩বছর পার করা এক দুঃসাধ্য সাধন। গত ৩০/১০/২০০৪ তারিখে দৈনিক মাতৃকণ্ঠ বুকভরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ছোট্ট কলেবরে প্রকাশনা শুরু করে। প্রথম প্রকাশের দিন থেকে নানা প্রতিকুলতার মধ্যদিয়ে শুরু হয় পথচলা। আমাদের পথচলা একদিনের জন্যও থামেনি। দারিদ্র পীড়িত রাজবাড়ী জেলা শহর থেকে দৈনিক পত্রিকা নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রকাশ করা সত্যি এক কঠিন কাজ। প্রকাশনার শুরু থেকে দৈনিক মাতৃকণ্ঠ কোন অন্যায়ের কাছে মাথানত করেনি বরং প্রতিবাদী হয়ে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় আমরা পাঠক নন্দিত হয়েছি। টিকে থাকার জন্য সেটাই আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছে।
জন্মকাল থেকেই রাজবাড়ীর স্থানীয় কতিপয় অপসাংবাদিক এবং মতলববাজ চক্র আতুর ঘরেই মাতৃকণ্ঠকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এসব অশুভ চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও বেনামী বানোয়াট দরখাস্ত প্রেরণ এখনো থামেনি। এ সকল নিন্দুকদের শকুনী অভিশাপে মুখ থুবরে পড়তে হয়নি কখনো। প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারী সংস্থার নানা ঘাটের একাধিক তদন্তের পর নানা চড়াই-উৎড়াই পাড় করে প্রকাশনা শুরুর দীর্ঘ সাড়ে ৪বছর পর ২০০৮ সালের আগস্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মাতৃকণ্ঠ সরকারী মিডিয়া তালিকাভুক্ত হয়। এরপর থেকেই প্রকাশনার কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দৈনিক মাতৃকণ্ঠ এখন বৃহত্তর ফরিদপুরের সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র। ডিজিটাল দুনিয়ার সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে দৈনিক মাতৃকণ্ঠ অনলাইন সংস্করণ, ই-পেপার ও স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে দেশ পেরিয়ে প্রবাসীদের জন্য সমাদৃত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।
প্রথম প্রকাশের পর থেকে অদম্য সাহস নিয়ে দৈনিক মাতৃকন্ঠ যে যাত্রা শুরু করেছিল, তা অব্যাহত আছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রিয় পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের অফুরন্ত পরামর্শ ও ভালবাসায়।
স্থানীয় ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অগনিত পাঠকের সহযোগিতায় “দৈনিক মাতৃকণ্ঠ” আজ জাতীয় দৈনিকের সাথে ছুটে চলেছে আকাশ ছোঁয়া আত্মবিশ্বাস নিয়ে। দীর্ঘ ১৩বছর পেরিয়ে ১৪তম বর্ষে পদার্পনে আমাদের সাথে থাকায় সকল পাঠক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ী এবং সহকর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।