Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে সাড়ে ছয় ঘন্টা ফেরী বন্ধ

॥আবুল হোসেন॥ কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে গত রবিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত তিন দফায় প্রায় সাড়ে ছয় ঘন্টা ফেরীসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়ে যানবাহন বোঝাই সাত ফেরী। উভয় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েক’শ গাড়ীর কয়েক হাজার যাত্রী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন সংস্থা(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, গত রবিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে থাকলে ফেরী, লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলে বিঘœ হয়। রাত সাড়ে বারোটার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে সামনে কিছু দেখতে না পেয়ে মাষ্টারগণ দূর্ঘটনা এড়াতে ফেরী চালানো বন্ধ রাখে। এ সময় উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রোরো ফেরী কেরামত আলী, আমানত শাহ, এনায়েতপুরী, খানজাহান আলী, কেটাইপ কুমারী ও ইউটিলিটি শাপলা শালুক ও বনলতা নামক সাতটি ফেরী মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে থাকতে বাধ্য হয়। ফেরীতে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী বোঝাই ৭২টি গাড়ি ছিল। রাত পৌনে তিনটার দিকে কুয়াশা কম দেখে ফেরী ছাড়তে শুরু করে। দ্বিতীয় দফায় ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত চার ঘন্টা এবং তৃতীয় দফায় সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। তিন দফায় সাড়ে ছয় ঘন্টার বেশি ফেরী বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ে আট শতাধিক গাড়ি।
গতকাল সোমবার সকালে ঘাটে দেখা যায়, ফেরী ঘাট থেকে দুই কিলোমিটারের বেশী লম্বা দুই সারি কোথাও তিন সারি যাত্রীবাহি বাস, পশুবাহি ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়ি অপেক্ষায় ছিল। তিন কিলোমিটার পর থেকে আরো প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এক সারিতে যাত্রীবাহি বাস ও পণ্যবাহী গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়। সাতক্ষীরা থেকে ১৪টি মহিষ নিয়ে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক রবিউল ইসলাম জানান, রবিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঘাটে আটকা পড়ি। দশ ঘন্টা পরও ঘাটে মহিষগুলো নামাতে না পারিনি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়ার ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, এই নৌপথে মোট ১৯টি ফেরীর মধ্যে দুই মাস ধরে তিনটি বড় ফেরী মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে রয়েছে। এরমধ্যে শাহমখদুম মেরামত শেষে ১০/১১দিন ধরে মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটে চলছে। অপর দুইটি এখনো আসেনি। এই নৌপথে রোরো ফেরী বেশি থাকলে দ্রুত আটকে থাকা গাড়ি পারাপার করা সম্ভব হতো।