Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে রাজবাড়ীতে আলোচনা সভা॥কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য সফলতা — রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতে ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে জেলা পুলিশের আয়োজনে গতকাল ২৮শে অক্টোবর সকালে বর্নাঢ্য র‌্যালী, সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপার সালমা বেগম পিপিএম-সেবা’র নেতৃত্বে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী শহরের বড়পুলস্থ কাজী হেদায়েত হোসেন স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে গিয়ে শেষ হয়।
র‌্যালীতে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মোঃ আছাদুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম, রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ তারিক কামাল, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও সদস্যগণ, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশগ্রহণ করেন।
র‌্যালী শেষে বেলা ১১টায় পুলিশ লাইন্সে জাতীয় পতাকা, পুলিশের পতাকা ও কমিউনিটি পুলিশের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ওড়ানো ও শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করার মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং ডে’র উদ্বোধন করেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এবং সম্মানিত বিশেষ অতিথি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী ও পুলিশ সুপার সালমা বেগম পিপিএম-সেবা।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এবং সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী।
পুলিশ সুপার সালমা বেগম পিপিএম-সেবা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুর রহমান এবং সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফেরামের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আঃ রহিম মোল্লা, উপদেষ্টাদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ অহিদুজ্জামান, খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম লাল, ওয়াদুদ মোল্লা, রামকান্তপুর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান, মিজানপুর ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম, বসন্তপুর ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন ও মূলঘর ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম প্রমুখ।
এ সময় জেলা আনসার-ভিডিপি’র কমান্ড্যান্ট সদন চাকমা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মোঃ আছাদুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম এবং সদর থানার ওসি মোঃ তারিক কামালসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও অন্যান্য সদস্যগণ, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যগণ, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, আজকে সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ পালন করা হচ্ছে। আমরা দেখি নাই-তবে শুনেছি, বৃটিশ আমলে যখন কোন এলাকায় বা গ্রামে পোশাক পড়া পুলিশ আসতো তখন ভয়ে সাধারণ মানুষ গ্রাম বা শহর ছাড়া হতো, যারা থাকতো তারাও খুব ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকতো। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রেক্ষাপটও পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে আমাদের পুলিশিং ব্যবস্থার। সৃষ্টি হয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার। যার কারণে আজকে আমরা ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমাদের সমাজে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অনেকাংশে দূর হয়েছে। যা বর্তমান সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য সফলতা। বর্তমান সরকারের আমলের আগে আমরা দেখেছি এই পুলিশিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে একজন রিকশাওয়ালাও বাজার থেকে বাজার করে ঠিক মতো বাড়ী ফিরতে পারেনি। পথেই তার বাজারসহ সর্বস্ব সন্ত্রাসীরা লুট করেছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে শক্তিশালী পুলিশিং ব্যবস্থার কারণে আজকে রাজবাড়ী জেলাসহ সারা দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পুলিশ ভাই-বোনদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ সার্বিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পথকে সুগম করেছেন। পাশাপশি কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের একত্রে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার পথকে আরো সম্প্রসারিত করেছেন। যেই কারণে আজকে পুলিশ আর সাধারণ মানুষের শত্রু নয়, বন্ধুতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সকল কমিউনিটির মধ্যে ভালো-খারাপ সবই রয়েছে। সেই জন্য যে খারাপ কাজ করে আমরা তাকে খারাপ বলবো আর যে ভালো কাজ করে তাকে ভলো বলবো। আজকে বিচার বিভাগের সবাই যে ভালো সে কথা আমরা বলতে পারিনা। কারণ আমরা অনেক সময় দেখি অনেক বড় মাদক ব্যবসায়ীকে যখন পুলিশ কষ্ট করে ধরে এনে বিচারের জন্য বিচার বিভাগের সম্মুখীন করছে, তখন সমাজের শত্রু সেই মাদক ব্যবসায়ী ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। যখন মিডিয়ায় বা সংবাদপত্রে দেখি কোন বিচারকের গাড়ীর বনেেেটর মধ্যে ফেনসিডিল ধরা পড়ছে, আবার কোন বিচারপতি যমুনা সেতুর টোল না দিয়ে যেতে চাইছে তখন আমরা তাদেরকে কি বলব? আবার রাজবাড়ীতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের অনেকে দিনের আলোতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন-আবার রাত গভীর হলে রঙিন গ্লাসের আসরে রঙিন পানি খেয়ে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন। এই সকল নেতৃত্বের কাছ থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বা তাদের নিজেদের সন্তানরা কি শিখবে? আবার আমাদের এমপিদের মধ্যে যে সকলেই ভালো, এটাও যেমন সত্য নয়-তেমনি আমাদের পুলিশ বাহিনী কর্মকর্তা ও সদস্য এবং কমিউনিটি পুলিশিং-এর নেতৃত্ব বা সদস্যদের মধ্যে সকলেই যে ভালো সেটিও বলা যাবে না। পুলিশের মধ্যে অনেক যুবক অফিসার আছেন যারা নিজেরা মাদক ধরাতো দূরে থাক, নিজেরাই মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপারকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম আরো বলেন, আমরা অনেক সময় বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবিতে দেখি পুলিশ সুপার নদীতে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধে নিজে উদ্যোগী হয়ে অভিযান পরিচালনাসহ জাল থেকে ইলিশ মাছ ছাড়াচ্ছেন ও জেলেদের ধরছেন। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে আমাদের ভালো লাগে। কিন্তু বিভিন্নভাবে যখন জানতে পারি পুলিশেরই কোন কোন কর্মকর্তা ও সদস্য ইলিশ শিকার বন্ধের সময় অভিযানে গিয়ে গোপনে ইলিশ দিয়ে নিজেরে ফ্রিজ ভরছেন তখন আমাদের কষ্ট লাগে। আবার আমার জানা মতে, বালিয়াকান্দির হাতে গোনা কয়েকজন নেতা ছাড়া অধিকাংশ নেতৃত্বেই আজ মাদকে আসক্ত। তারা যাতে ভালো হয় সে ব্যাপারে আমাদের সকলকে আরো সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি পুলিশ সদস্যদের প্রশংসা করে বলেন, দেশ থেকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ঐকান্তিক চেষ্টার কারণে আজ রাজবাড়ী জেলাসহ সমগ্র বাংলাদেশ থেকে জঙ্গীবাদ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে আজ সারা বিশ্বব্যাপী অনেক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে বা অনেক দেশের কাছে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশংসা অর্জন করেছে। যাতে দেশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। আমাদের সকল জনপ্রতিনিধি, সরকারী-বেসরকারী বিভাগ, পুলিশ বাহিনী, কমিউনিটি পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণসহ সকল সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে সমাজ থেকে সকল মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহসহ সকল খারাপ কর্মকান্ড দূর করার মধ্যমে সম্মিলিতভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করতে কাজ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনী ও কমিউনিটি পুলিশিং এর কল্যাণে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে তুলে ধরেন।
সম্মানিত বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী বলেন, বর্তমান সরকারের পুলিশিং ব্যবস্থার পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা একটি ভালো উদ্যোগ। যা জাতির জনকের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাধারণ মানুষের কল্যাণে ভালো কাজ করার একটি উদাহরণ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অনেক ক্ষেত্রেই মানবেতর জীবন-যাপন করতো কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের বেতন-ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। যার ফলে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলসহ তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছে। যার ফলে তারা দেশও বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। সুতরাং পুলিশ বাহিনী ও কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যসহ দেশপ্রেমী সকলকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ সুপার সালমা বেগম পিপিএম-সেবা অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। দেশের যে কোন ভালো উদ্যোগ সম্পর্কে তাদের জানা প্রয়োজন। তিনি কমিউনিটি পুলিশিং কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিয়ে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের দূরত্ব কমে এসে বন্ধুত্ব তৈরী হয়েছে। আজ শিশুসহ যে কোন সাধারণ নাগরিক কমিউনিটি পুলিশিংয়ের অন্তর্ভুক্ত, কারণ অনেক ক্ষেত্রেই শিশুসহ সকল বয়সী সাধারণ জনগণ সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ, মাদক, ইভটিজিং, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুলিশকে তথ্য সরবরাহ করে কমিউনিটি পুলিশের ভূমিকা পালন করছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের অনেক ঘটনা পুলিশের পক্ষে জানা সম্ভব হয় না কিন্তু কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তা জানা সম্ভব হচ্ছে বলে অপরাধ দমনে পুলিশের কার্যকরী ভূমিকার কারণে আজ দেশ থেকে জঙ্গীবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস অনেকাংশেই নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে। মানুষ হিসেবে আমরা কেউই ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। ভবিষ্যতে আমাদের সকলের ভুল-ত্রুটি শুধরে নিয়ে দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্য অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠান শেষে জেলায় কমিউনিটি পুলিশিং-এ বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য বালিয়াকান্দি থানার এস.আই অংকুর ভট্টাচার্য্য ও সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আঃ রহিম মোল্লাকে পুলিশের আইজিপি মোঃ শহীদুল হক স্বাক্ষরিত সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিগণ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এই ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।