॥এম.এইচ.আক্কাছ॥ সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ৩মাস পর রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ৪জনের মধ্যে ২জন শ্রমিকের লাশ গত ২০শে অক্টোবর রাতে দেশে এসেছে। গতকাল ২১শে অক্টোবর দুপুরে জানাযার নামাজ শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অপর ২জনের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা এখনো প্রহর গুনছে।
দেশে আনা নিহত শ্রমিকরা হলেন ঃ গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নাছের মাতুব্বার পাড়ার ওসমান খাঁর ছেলে কোব্বাত আলী খাঁ(২৪) ও দরাপেরডাঙ্গী গ্রামের অহেদ আলী বেপারীর ছেলে হুমায়ূন বেপারী(২৫)। তাদের লাশ বাড়ীতে এসে পৌঁছালে শেষ বারের মত দেখার জন্য সেখানে শত শত মানুষ ভীড় করে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এখনও যে ২টি লাশ সৌদিতে রয়ে গেছে তারা হলো ঃ অহেদ আলী বেপারীর অপর ছেলে এরশাদ আলী বেপারী(৩০) এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর দৌলতদিয়া আনছার মাঝির পাড়ার ছাহের মন্ডলের ছেলে মিরাজ মন্ডল(২২) ।
গত ২৮শে জুলাই ভোরে সৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গোয়ালন্দ উপজেলার ২সহোদরসহ এই ৪ জনের মৃত্যু হয়। একই সাথে ফরিদপুরের আরো ২জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এরা সকলেই নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো বলে জানা গেছে।
নিহতদের পারিবারিক সুত্র জানায়, গত ২৮শে জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত নয়টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে করে সৌদি আরবের দাম্মাম শহর থেকে কাজে যোগ দেয়ার জন্য তারা আলজুময়ারা শহরে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে অপর একটি প্রাইভেট কারের সাথে সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত গোয়ালন্দের ৪জনের মধ্যে ২জনের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও আর্থিক ও প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্রের অভাবে এখনো অপর ২জনের লাশ দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না। স্বজন হারানো পরিবারগুলো প্রিয়জনের মুখখানি শেষ বারের মত দেখার জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন।
উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকীর জানান, উপার্জনক্ষম স্বজনদের হারিয়ে পরিবারগুলো একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত অপর ২জনের লাশ ফিরিয়ে আনতে তিনি সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতার অনুরোধ জানান।