Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে জেলাবাসীর সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নে কাজ করবো—————- ফকীর আব্দুল জব্বার

॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ আমার নিজের একটা কথা-যেটা আমি মাঝে মধ্যেই বলে থাকি, তা হলো ‘যাহা বলি তাহা করি-যাহা পারি তাহাই বলি’। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। ছিনিয়ে এনেছি বাংলার লাল সূর্য। সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করছি অনেক আগে থেকেই। আগামী ২৮শে ডিসেম্বর রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আমাকে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সমর্থন দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।
গতকাল ২০শে ডিসেম্বর দৈনিক মাতৃকন্ঠকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও আসন্ন রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী (তালগাছ প্রতীক) বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ফকীর আব্দুল জব্বার তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি যুক্ত আছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে। আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির রাজবাড়ী জেলা ইউনিটের তিনি নির্বাচিত সহ-সভাপতি। কর্ম ও কর্মের প্রতি বিশ্বাসীদেরকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন এনজিও কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা(কেকেএস)। ১৯৬৬ সালে গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে রাজবাড়ী সরকারী কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে বিএ পাশ করেন। জেলার একজন প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মিডিয়ায় দেশের উন্নয়ন, নারী শিক্ষা, গণতন্ত্র চর্চা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা এবং সমাজ সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি সাক্ষাৎকার দিয়ে আসছেন।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে ও জেলাবাসীর ভালোবাসায় জনপ্রতিনিধিদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে রাজবাড়ী জেলার সকলের জন্য কাজ করবেন। জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জেন্ডার, শিশু সুরক্ষা ও মানবিক দিকগুলোর ব্যাপারে বিশেষ চিন্তা-ভাবনায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। জেলা পরিষদের বেদখলকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধার করে মানুষের কল্যাণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সমাজসেবামূলক কাজ আরো বেগবান হবে। জনপ্রতিনিধিদের নায্য সম্মান প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে সাথে নিয়ে স্থানীয় সরকারের কার্যাবলী সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া সমাজের মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংমুক্ত করতে চেষ্টা করবো। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতির পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবো। গ্রামে-গঞ্জে প্র্রতিষ্ঠিত মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়ন করতে চেষ্টা করবো। আমি বিশ্বাস করি যার যার ধর্ম তার তার কাছে অনেক সম্মানের। বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট সংস্কার ও তরুণ যুবসমাজকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কর্মের প্রতি আগ্রহী করতে কাজ করবো। এজন্য সকলের কাছে দোয়া, সহযোগিতা ও মূল্যবান ভোট প্রার্থনা করছি।