॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের মোটর সাইকেলের বহরে হামলার চেষ্টাকারী ককটেলসহ আটক হওয়া সবুজ মুন্সী ২১দিন হাজতবাসের পর গতকাল ২০শে আগস্ট আদালত কর্তৃক জামিনপ্রাপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে।
জানাগেছে, আদালত জামিন মঞ্জুর করার পর সন্ধ্যায় তাকে জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তাকে জেলা কারাগার থেকে পাংশায় পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
এরআগে গত ১৬ই আগস্ট সকালে রাজবাড়ী কোর্ট প্রিজন ভ্যান নামার সময় আসামী সবুজ মুন্সি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন “আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে, আমি ভুল করে ফেলেছি, মিতুল ভাই আমাকে ক্ষমা করে দিন-এমপি জিল্লুল হাকিম মহোদয় আমাকে ক্ষমা করে দিন” আমি ভুল করেছি। একথা বলতে বলতে সে কোর্ট হাজতের দিকে চলে যায়।
এরপর গত ১৮ই আগস্ট বিকেলে সবুজের পিতা মুন্সি সোহরাব হোসেন(৬৫) স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন “আমি শুনেছি আমার ছেলে রাজনৈতিক ভুল করছে, আমার ছেলেকে আমি কাউরে খেলার পুতুল করতে দেব না” মিতুল বাবাজি’র কাছে সে ক্ষমা চেয়েছে, এমপি মহোদয়ের কাছে সে ক্ষমা চেয়েছে আমি শুনছি। শোনার পরে আমি আমার ছেলের জন্য এমপি মহোদয়ের কাছে গেছি-মাফ চেয়েছি তিনি আমাকে মাফ করে দিয়েছেন”।
গত ৩০শে জুলাই রাত ৮টার দিকে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের মোটর সাইকেলের বহরে অনুপ্রবেশকারী দুই যুককের মধ্যে জাহিদুল হাসান ওরফে সবুজ মুন্সিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর থেকে ককটেলসহ আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটক সবুজ মুন্সি পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির বি-মালঞ্চি গ্রামের মুন্সী সোহরাব হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম মারুফ বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২৭, তাং-৩১/০৭/২০১৭। ধারাঃ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদী আইনের ৫ ধারা। সবুজ মুন্সি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। গত ১৬ই আগস্ট আদালতে তার পুলিশ রিমান্ডের আবেদন শুনানীয়ান্তে না মঞ্জুর হয়। গতকাল ২০শে আগস্ট জামিনের শুনানীয়ান্তে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সন্ধ্যায় কারাগার থেকে সে মুক্তি পায়।
উল্লেখ্য, কারাগার থেকে বের হবার সময় সবুজ মুন্সিকে নাশকতার কাজে ব্যবহারকারীরা যাতে তার উপর কোন হামলা বা কোন ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ স্কটে তাকে বাড়ীতে পৌছে দেওয়া হয়।