॥রঘুনন্দন সিকদার॥ র্যাবের ভুয়া পরিচয়ে চাঁদাবাজীর সময় রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে গত ৫ই আগস্ট বেলা ১২টার দিকে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল এক নারীসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা হলো র্যাবের ভুয়া ক্যাপ্টেন পরিচয়দানকারী রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম শুভ(২১), ফরিদপুর কোতয়ালী থানাধীন কছিমুদ্দিন ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের আব্দুর রব মিয়ার ছেলে সোহেল রানা(২২), রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামের শহিদুল্লাহ মিয়ার কন্যা সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী রিক্তা খাতুন(২০) ও জব্দকৃত গাড়ীর ড্রাইভার রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোপীনাথদিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম আকরাম(২০)। গ্রেফতারকৃতরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্য সহকারী খোঃ গোলাম আজমের কাছে চাঁদা আনতে গিয়েছিল।
এ সময় তাদের ব্যবহৃত রাজবাড়ী থেকে ভাড়া করা সাদা রঙের ১টি প্রাইভেটকার(ঢাকা-মেট্রো-গ-১৫-০৮২৯), ১জোড়া হ্যান্ডকাপ, ৬টি মোবাইল, ১টি বাঁশি ও নগদ ১৭হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত তৌহিদুল ইসলাম র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজেকে র্যাবে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হিসেবে পরিচয় দিলেও পরবর্তীতে তা ভূয়া বলে প্রমানিত হয়। সে ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়ের একাউন্টিং ১ম বর্ষের ছাত্র। তার সহযোগি ধৃত সোহেল রানা পুলিশ কনস্টেবল বলে জানাগেছে। আর কলেজ ছাত্রী রিক্তা খাতুন তার প্রেমিকের সাথে প্রতারণার জন্য গিয়েছিল। গ্রেফতারকৃতদেরকে বালিয়াকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি মোঃ ফরাজুল হক বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে থেকে ৩জনকে(তৌহিদুল ইসলাম শুভ, ছাত্রী রিক্তা খাতুন ও ড্রাইভার ওয়াসিম আকরাম)কে আসামী করে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২, তাং-৬/৮/২০১৭ইং, ধারাঃ ১৭০/১৭১/৪১০/৪১৯/৩৮৫/৩৪ দঃ বিঃ। আসামীদের গত ৬ই আগস্ট আদালতে প্রেরণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ কায়সার হামিদ আসামীদের ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়।
গতকাল ৯ই আগস্ট রিমান্ড আবেদনের শুনানী শেষে আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ মামুন আসামীদের রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ প্রদান করেন। আসামীদের পক্ষে এডঃ মোঃ মোস্তফা কবীর মামলা পরিচালনা করেন।