॥স্টাফ রিপোর্টার॥ কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবেলা করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে ইউএনডিপি এবং আইওএম(আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা)।
গতকাল ১১ই জুন ইউএনডিপি’র আয়োজনে ‘ইনক্লুডিং মাইগ্রেন্টস এন্ড কমিউনিকেশনস ইন দ্যা সোসিও-ইকোনোমিক রিকভারি : এক্সপেরিয়েন্স ফ্রম দ্যা আইওএম-ইউএনডিপি পার্টনারশিপ অন দ্যা কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ প্রশংসা ব্যক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকালে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ উপস্থাপনকালে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার নগদ টাকা ও খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সাত কোটি মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। মানুষের জীবন-জীবিকার সহায়তার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান করেছে। সরকার ৮ লাখ ৮৪ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণপূর্বক বাস্তুচ্যুত এবং গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যার বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস-কল্পে সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগে বাংলাদেশ বিগত দশকে উন্নয়নের সুবিধা অর্জন করতে পেরেছে এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭.৫ শতাংশ অব্যাহত রাখতে পেরেছে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড মোকাবেলার সময়েও গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার গত বছর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে এবং তদনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ চলমান। ইউএনডিপির প্রতিনিধি ডেভিড খোদর বাংলাদেশ সরকারের এই কৌশলপত্রের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
আইওএম’র মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিটোরিনো কুড়িগ্রাম জেলায় কোভিড-১৯ এর সময়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের গন্তব্য নির্ধারণে যে পদ্ধতির পাইলটিং করা হয়েছে তার প্রশংসা করেন। তিনি এ পদ্ধতি অন্যান্য স্থানেও বাস্তবায়ন করার বিষয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন। আইওএম ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে পাইলটকৃত এ বাস্তুচ্যুতি ট্র্যাকিং পদ্ধতি বাস্তুচ্যুত মানুষের গতিবিধি এবং তাদের প্রয়োজন নিরূপণ করতে সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।