Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউপির দুই গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা ডিঙ্গী নৌকা !

॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের পার্শ্ববর্তী নতুন পাড়া ও নালু মন্ডলের পাড়া গ্রামের কয়েকশত বাসিন্দার পারাপারের একমাত্র ভরসা হচ্ছে ছোট ডিঙ্গী নৌকা।

দৌলতদিয়া ঘাটের দোকানীদের জন্য খাবার নেয়া ও তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য এই ছোট ডিঙ্গী ব্যবহার করে ঘাটে যেতে হয়।

গতকাল ১৬ই জুলাই দুপুরে লঞ্চ ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গৃহবধূরা গামলায় করে পোটলা বেঁধে নৌকায় করে স্বামীদের জন্য খাবার নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছে, আবার অনেকে দৌলতদিয়া থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বাড়ীতে ফিরছে।

রীনা বেগম নামে নৌকায় পার হওয়া এক নারী বলেন, একসময় আমাদের অনেক জমি-জমা ছিল। কিন্তু পদ্মার ভাঙ্গনে সব বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা মানুষের বাড়ীতে কাজ-কর্ম করে খাই। সরকার যদি আমাদের এই পথ ব্যবহারের জন্য একটি রাস্তা করে দিতো তাহলে খুব উপকার হতো।

স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী বলেন, পারাপারের জন্য আমার বাড়ীর পাশ দিয়ে মানুষজন নৌকায় উঠতো। নদীতে পানি যেভাবে হু হু করে বাড়ছে তাতে পারাপারের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হবে। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে থাকা মুশকিল হবে।

লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার রাজ্জাক প্রামানিক বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে লোকজন তেমন নেই। ৩/৪ জন মানুষ লোক পারাপারের জন্য নিয়োজিত রয়েছে। তারা প্রতিদিন ২শত টাকার মতো পায়। সেটা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়।

নৌকার মাঝি উম্বার সরদার বলেন, অনেকদিন যাবৎ এ ঘাটে মানুষ পারাপার করি। আগে বেশী লোক পারাপার হতো। পানি বাড়ার  কারণে এখন অনেকে নিজেদের ব্যবহারের নৌকা তৈরী করে নিয়েছে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার, মাঝিসহ ৪জন লোকের জন্য মানবিক দিক চিন্তা করে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ছাড় দিয়েছি- যাতে তারা কর্ম করে খেতে পারে।