॥ইউসুফ মিয়া॥ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্বেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার সরকারী ছুটির দিনে মিটিং করলেন রাজবাড়ী কৃষি ব্যাংকের সদ্য যোগদানকৃত মূখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক(সিআরএম) অধীর চন্দ্র দাস।
জানা গেছে, ভার্চুয়াল মিটিং করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও গতকাল ১০ই জুলাই সকাল ১০টায় রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর কৃষি ব্যাংকের শাখা কার্যালয়ে সিআরএম অধীর চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এই মিটিং শুরু হয়। একটানা ৩ঘন্টার মতো চলার পর দুপুর ১টার দিকে মিটিং শেষ হয়।
কৃষি ব্যাংকের রাজবাড়ী শাখার ২য় কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ, সোনাপুর শাখার ব্যবস্থাপক আশরাফ হোসেন, বালিয়াকান্দি শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ ওবায়দুল্লাহ, শ্রীপুর শাখার ব্যবস্থাপক আঃ সবুর, মূলঘর শাখার ব্যবস্থাপক তোফাজ্জেল হোসেন, গোয়ালন্দ শাখার ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান, পাঁচুরিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান প্রমুখ মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে এভাবে ডেকে এনে দীর্ঘক্ষণ বদ্ধ ঘরে মিটিং-এ অংশ নিতে বাধ্য করায় কৃষি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মিটিং-এ অংশ নেয়া কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এমনিতেই আমরা ব্যাংকের স্টাফরা সবাই করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। তার উপরে আবার কৃষি ব্যাংকের রাজবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাসও আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও রাজবাড়ীতে আরো বেশ কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীও আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় জরুরী হলে জুম অ্যাপস ব্যবহার করে ভার্চুয়াল মিটিংটি করা যেত। তা না করে সকলকে এভাবে সশরীরে হাজির হতে বাধ্য করে মিটিং করা মোটেও ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে কৃষি ব্যাংকের মূখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (সিআরএম) অধীর চন্দ্র দাস বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকার প্রণোদনা হিসেবে ঋণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়ার জন্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে মিটিংটি করা হয়েছে। অ্যাপস ব্যবহার করে ভার্চুয়ালিও মিটিংটি করা যেত। কিন্তু আমি মাত্র দুই দিন আগে যোগদান করেছি। তাই কর্মকর্তাদের সাথে পরিচিত হওয়াসহ সামনা-সামনি কথাবার্তা বলার জন্য এভাবে মিটিংটি করেছি।