Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

করোনায় আক্রান্ত রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি’র স্ত্রী সাজু॥কন্যা চৈতী কোয়ারেন্টাইনে॥দোয়া কামনা

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ করোনা ভাইরাসে(কোভিড-১৯) আক্রান্ত  হয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর সহধর্মিনী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেবেকা সুলতানা সাজু(৫৫)। তার সুস্থ্যতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।

গত ১৪ই এপ্রিল সকালে রেবেকা সুলতানা সাজুকে রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে মর্মে জানিয়েছেন তার স্বামী সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী।

আজ ১৮ই এপ্রিল বিকালে সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী(৬৫) বলেন, তার সহধর্মিনী রেবেকা সুলতানা সাজু দীর্ঘদিন যাবৎ ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছে। নিয়মিত চিকিৎসাকালে সম্প্রতি তার ইউরিনে ইনফেকশন ধরা পড়লে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত প্রায় ১৫দিন আগে তাকে(সাজুকে) ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ৮দিন ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হয়। তারপর থেকে তিনি গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। গত ১৩ই এপ্রিল তাকে ইউনাইটেড হাসপিটালে ফের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেখানে তাকে এক্স-রে করলে ফুসফুসে ইনফেনশন ধরা পড়ে। পরে তাকে বাসায় নিয়ে আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে ফোন করেন। আইইডিসিআরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তার বাসায় গিয়ে স্ত্রী রেবেকা সুলতানা সাজুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী আরো বলেন, তার স্ত্রী সাজুর করোনা ভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় আমার ও একমাত্র কন্যা কানিজ ফাতেমা চৈতীর করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমি স্ত্রী সাজুর সেবার জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের নবম তলার ৩৭ নম্বর কেবিনে অবস্থান করছি। আর কন্যা কানিজ ফাতেমা চৈতী তার বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আমার ও কন্যা চৈতীর দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষা করা হবে। বর্তমানে কন্যা চৈতীর শরীরে জ্বর রয়েছে। মাকে দেখার জন্য সে উদ্বিগ্ন। কিন্তু আমি তাকে হাসপাতালে আসতে নিষেধ করেছি। বলেছি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করো।

এমপি কাজী কেরামত আলী আরো বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবার জন্য আপনজন বা কেউ রোগীর পাশে থাকতে চায় না। হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরা পিপিই পড়ে ওয়ার্ডে ডিউটিতে আসে। স্ত্রী বর্তমানে অক্সিজেন সাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে জেনেও আমি স্ত্রীর সেবা ও ওষুধ সেবন করানোর জন্য কেবিনের থাকছি। এ সময় তিনি বলেন, আমি রুমের মধ্যে সার্বক্ষনিক মাস্ক ব্যবহার করি।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১৫দিন পূর্বে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ ও এক্স-রে করাকালে স্ত্রী সাজু সংক্রমিত হতে পারে বলে ধারণা করেন।

এমপি কাজী কেরামত আলী রাজবাড়ী জেলাবাসীসহ সকলের কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ্ রহমতে এবং চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তার স্ত্রী সাজুকে ধেির ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য, স্ত্রী রেবেকা সুলতানা সাজুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন আগে এমপি কাজী কেরামত আলী ও তার কন্যা চৈতী রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম করে ঢাকায় যান।