॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিমের জ্যেষ্ঠপুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা আশিক মাহমুদ মিতুল এবারে কশবামাজাইল ইউপির সুবর্ণকোলা ও নটাভাঙ্গা গ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ঘরবাড়ী ভাংচুরের শিকার হওয়া অসহায় ও দরিদ্র ৩৪টি পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
গতকাল ১৬ই এপ্রিল বিকেলে সুবর্ণকোলা ও নটাভাঙ্গা গ্রামে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপির পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত অনুদান হিসেবে ১০ হাজার করে টাকা প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন তিনি।
এ সময় পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম (বুড়ো), পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ এএফএম শফীউদ্দিন (পাতা), পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনু, কশবামাজাইল ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুদ্দিন মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পিল্টু জোয়ার্দ্দার প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আশিক মাহমুদ মিতুল বলেন, চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় খাদ্য সহায়তা ও ভ্রাম্যমান চিকিৎসা সেবাসহ নানা কর্মসূচী হাতে নিয়ে অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে আছি। এরই মধ্যে কশবামাজাইল ইউপির সুবর্ণকোলা ও নটাভাঙ্গা দুই গ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ঘরবাড়ী ভাংচুরের শিকার হওয়া অসহায় মানুষের পাশে এসেছি। আজকে যেমন আপনাদের পাশে আছি, তেমনি ভবিষ্যতেও আপনাদের সুখ-দুঃেখের সাথি হিসেবে পাশে থাকব।
তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নানা ধরণের অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। খুন-চাঁদাবাজী-রাহাজানীতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশে উন্নয়ন ও জনকল্যাণ মূলক কাজ এগিয়ে নেয়। আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম আপনাদের ভোটে বারবার এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন- কশবামাজাইলে আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছু বিএনপির লোকজন ঘাপটি মেরে আছে এবং তারা সুযোগ পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। অনেকে মামলার শিকার হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। আবার আওয়ামী লীগের মধ্যেও বিভেদ-প্রতিযোগিতা। এ অবস্থা চলতে পারে না। নিজেদের পরিকল্পনায় দলকে গোছাতে হবে। বিভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করার গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বর্তমান করোনা সংকট মোকাবেলায় রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এবং এমপি পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল কর্মহীন অসহায় ও হতদরিদ্র লোকজনের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে পিপিই সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ, ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম গঠন করে বিনামূল্যে বিশেষ চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ নানাবিধ সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে ক্ষগ্রিস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদানের পর শান্তিখোলা গ্রামে অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতা জর্জ আলী বিশ্বাসকে দেখতে যান আশিক মাহমুদ মিতুল।