॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পৃথক দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল ২৪শে মার্চ তাঁর গুলশানের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান
তিনি জানান, কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাঁকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবেন। তবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার ৪০১ ধারায় তার দন্ড স্থগিত করে মুক্তির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আনিসুল হক বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হচ্ছে। তবে এই ছয় মাস তাকে নিজের বাসায় থাকতে হবে। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে তাঁকে বিদেশে পাঠানো মানে তাঁকে ‘সুইসাইডের’ মুখে ফেলা।
আইনমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চিকিৎসার জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যেতে পারবেন।
এর আগে বয়স ও অসুস্থতার কারণে তাকে মুক্তি দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকার মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। প্রথমে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে থাকলেও পরে চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিবিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়। এখন সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে বয়স ও অসুস্থতার কারণে তাকে মুক্তি দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে সরকার মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়।