॥এম.এইচ আক্কাছ॥ গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নবুওসিমদ্দিন পাড়ায় গত ১৫ই মার্চ দিবাগত গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে সজিব মোল্লা(১৮) নামে এক ইমামকে কুপিয়ে জখম করেছে রাকিব শেখ (১৮) নামে এক বখাটে।
ইমাম সজিব মোল্লা একই ইউনিয়নের রমজান মাতুব্বর পাড়ার সিরাজ সরদারের ছেলে এবং বখাটে রাকিবুল শেখ একই এলাকার মৃত কুদ্দুস শেখের ছেলে।
জানা গেছে, সজিব মোল্লা দৌলতদিয়ার মাদ্রাসাতুল সাবি-ইল হাসানের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে নবুওসিমদ্দিন পাড়া আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়া মসজিদে ইমামতি করে এবং মসজিদের পাশেই তৈরী একটি টিনের ছাপড়া ঘরে থাকে। প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার রাতে এশার নামাজ শেষে খাবার খেয়ে সে তার রুমে ঘুমিয়ে ছিল। রাত ২টার দিকে রাকিবুল টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে ধারালো দা দিয়ে ইমাম সজিব মোল্লার মাথা, ঘাড় ও কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসাধীন ইমাম সজিব মোল্লার মামা রইচ উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে বখাটে রাকিব সজিবের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সজিব তা প্রত্যাখ্যান করে। এ কারণে রাকিব ক্ষুদ্ধ হয়ে আক্রোশবশতঃ এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় ইমাম সজিব মোল্লার পিতা সিরাজ মোল্লা বাদী হয়ে রাকিব শেখ ও তার দুই চাচা ফিরোজ শেখ ও করিম শেখসহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ আশিকুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।