Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

করোনা ভাইরাস নিয়ে পরামর্শ না মেনে ভুল তথ্য প্রদান করলে ২ মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

॥ডেস্ক রিপোর্ট॥ করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত সুরক্ষা নির্দেশিকা অনুসরণ না করলে সরকার আইনী পদক্ষেপ নিতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম গতকাল ১৩ই মার্চ সকালে তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের ফাঁকে বাসসকে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এই বিষয় সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। আমরা ‘সংক্রামণ রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন-২০১৮’ এর অধীনে আইনী পদক্ষেপ নিতে পারি।
ডা. আজাদ বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কোভিড-১৯ সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান করে তবে তাকেও এই আইনের আওতায় শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
এই আইনের একটি ধারা অনুসারে, কেউ যদি কোনও রোগ সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রদান করেন, তবে এটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে এবং ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ দুই মাসের কারাদন্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা বা একসঙ্গে উভয় দন্ড দেয়া যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং স্বাস্থ্য সুবিধায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট থাকার দরকার নেই, কারণ আমরা দেশের যেকোনও জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে সক্ষম।
ডা. আজাদ বলেন, লোকজন নিজেরাই তিন স্তরের পপলিন ফ্যাব্রিক এবং যে কোনও ধরনের লেইস দিয়ে ফেসিয়াল মাস্ক তৈরি করতে পারে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা কেন্দ্র (আইইডিসিআর) ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা জানান, যে দুই ব্যক্তি কোডিভ-১৯ সংক্রমণ থেকে নিরাময় পেয়েছেন, তাদের একজনকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে উঠা অপর ব্যক্তি এখনও হাসপাতালে রয়েছেন। এছাড়া, একজনকে তার বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে।
সাব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, তৃতীয় করোনভাইরাস রোগী এখনও আরও একটি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে রয়েছেন। পরীক্ষাটি নির্দিষ্ট সময় পরে করা হবে বলে তিনি জানান।
এছাড়াও, ফ্লোরা পরামর্শ দিয়েছেন ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণের বাড়ির বাইরে যাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।
গত ২৪ ঘন্টায়, আইইডিসিআর ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। ২৪ জনের মধ্যে কারোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, তারা এ পর্যন্ত ১৮৭ জনের করোনভাইরাস সম্পর্কে পরীক্ষা করেছেন।
ডা. ফ্লোরা ভাইরাসটির লক্ষণ সম্পর্কে বলেন, যদিও দেশে করোনাভাইরাসের নতুন কোনও ঘটনা পাওয়া যায়নি, তবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইইডিসিআর পরিচালক বারবার সচেতনতা বাড়াতে জোর দিয়ে বলেন, সচেতনতা এবং ভালো অভ্যাস অনুশীলন ছাড়া মারাত্মক ভাইরাস মোকাবেলার উপায় নেই।
এ সময় আইইডিসিআর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আ স ম আলমগীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি ডা. বরদন জঙ্গ রানা এবং ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান মায়া ভেন্ডেন্যান্ট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।