॥স্টাফ রিপোর্টার॥ দেশের রাষ্ট্র পরিচালিত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রন এবং রোগ গবেষণা ইনিস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর রোগ মনিটরিং উইং ইনিস্টিটিউট গতকাল ১০ই মার্চ বলেছে, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলার সবচেয়ে উত্তম পথ হচ্ছে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকা।
আইইডিসিআর’র পরিচালক ডাঃ মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা গতকাল মঙ্গলবার নগরীর মহাখালীতে আইডিসিআর’র মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই ভাইরাস থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে সবচেয়ে উত্তম পথ হচ্ছে সেলফ কোয়ারেন্টাইন। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের থেকে পরিবারের বয়স্ক লোকদের সেলফ কোয়ারেন্টাইনে যাবার অনুরোধ জানান তিনি। আইইডিসিআর’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ডা. ফ্লোরা বলেন, প্রাথমিক ভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন সনাক্ত হবার পর নতুন করে আক্রান্ত আর কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৭জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। তাদের সকলেই নিরাপদ আছেন। কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা আট জনকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছি এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের সংস্পর্শে আসা অপর ৪জনকে ইনিস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি।
তিনি এই মারাত্মক ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর আবারো গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া এখন পযর্ন্ত এই ঘাতক ভাইরাস থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই। তিনি বিদেশ ফেরত ব্যাক্তিদেরকে ১৪ দিনের জন্য সেলফ কোয়ান্টারাইনে রাখার আহবান জানান। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাবার পরামর্শ দিয়ে তিনি জরুরী প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।
আইইডিসিআর’র পরিচালক ডাঃ সাবরিনা ফ্লোরা হট নম্বরে না পাওয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইনকামিং কলে অচলাবস্থা নিরসনে হট নম্বর বাড়িয়ে ১২টি করা হয়েছে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মোট ২,৭৭৮ টি কল রিসিভ করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ই মার্চ স্বাস্থ্য সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এক ব্রিফিং অনুষ্ঠানে জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সারাদেশে সরকারী হাসপাতালে পৃথক ইউনিট করা হয়েছে। বেসরকারী হাসপাতালগুলোতেও অনুরুপ পৃথক ইউনিট করা হবে।
আইইডিসিআর’র পরিচালক সাবরিনা ফ্লোরা বিদেশ ফেরতদেরকে নিজস্ব কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করার এবং অন্য কারো সংস্পর্শে না আসার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিদেশ থেকে কেউ আসলেই, তিনি করোনা ভাইরাসের জীবানু বহন করে নিয়ে এসেছেন, এমনটি ভাববার কোন কারন নেই। তিনি গত ৮ই মার্চ তিন জন বাংলাদেশী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত করেন। এদের মধ্যে ২জন পুরুষ এবং ১জন নারী।
এরআগে সরকার ৪ই মার্চ ভাইরাস মুক্ত মেডিকেল সনদ ছাড়া ইতালী, দক্ষিন কোরিয়া, জাপান এবং কুয়েত থেকে কোন ব্যক্তির দেশে প্রবেশের ব্যাপারে বিধি নিষেধ আরোপ করে।