॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ গত জানুয়ারী মাসে রোগীদের মাধ্যমে উহানের একটি হাসপাতালেরই ৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছে। এই মহামারীর প্রধান ঝুঁকি নির্ণয়ের লক্ষ্যে এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়। খবর এএফপি’র।
জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশন-এ গত শুক্রবার প্রকাশিত ঝোংগান হসপিটাল অব উহান ইউনিভাসিটি’র চিকিৎসকদের লিখিত এক গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, অস্ত্রপচার বিভাগে ভর্তি হওয়া এক রোগীর মাধ্যমে ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই হাসপাতালে অন্যান্য কারণে ভর্তি হওয়া ১৭ জন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। জানুয়ারীর ১ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত হাসপাতালে আক্রান্ত ১৩৮ জন রোগীর শতকরা ৪১ ভাগ হাসপাতাল-সংক্রান্ত সংক্রমণের শিকার হয়েছে।
এই ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম সতর্ককারী চিকিৎসক, যিনি সতর্ক করার কারণে শাস্তি পেয়েছিলেন, তার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পর শোকের ছায়া নেমে আসে। ৬৩০ জনের বেশি লোকের মৃত্যুতে সংকট প্রকট আকার ধারন করায় জনমনে ক্ষোভ সঞ্চার হলে এ গবেষণা করা হয়।
৩৪ বছর বয়সী লী গত ৩০শে ডিসেম্বর উহানে তার সহকর্মীদের এক বার্তার মাধ্যমে সতর্ক করেন। এই কারণে লীসহ একদল লোককে পুলিশ ‘গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে এক রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে তিনিও এই ভাইরাসে আক্রান্তর হন।
জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশন-এর ৪০ জন আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মীর ৩১ জন জেনারেল ওয়ার্ডের, ৭জন জরুরী বিভাগে ও ২জন আইসিইউ-এ দায়িত্বপ্রাপ্ত।
সম্প্রতি অনুমান করা হচ্ছে যে, করোনা আক্রান্ত একজনের মাধ্যমে ২ দশমিক ২-জন আক্রান্ত হতে পারে, তবে এক রোগীর মাধ্যমে ১০ স্বাস্থ্যকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার এ ঘটনা উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
ইউনিভার্সিটি অব সাউদামটন-এর এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাইকেল হেড যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ মিডিয়া সেন্টারকে বলেন, ‘বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তবে নিশ্চিত যে কোনো কোনো রোগীর সংক্রমণের মাত্রা অন্য রোগীদের চেয়ে বেশি এবং এ ধরনের রোগী পরিচালনায় নতুন জটিলতা সৃষ্টি করবে।’
হুবেই প্রদেশের ডেপুটি গভর্ণর স্বীকার করেছেন যে,স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের প্রতিরোধ সরঞ্জামও অপ্রতুল।