Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

চরভদ্রাসনে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন-সড়ক অবরোধ

॥মাহবুব হোসেন পিয়াল॥ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার হরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন এসএসসি পরীক্ষার্থী এখনও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় গতকাল ৩১শে জানুয়ারী সকালে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সড়ক অবরোধ করে। তাদের সাথে অভিভাবক ও এলাকাবাসীও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।
সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চরভদ্রাসন-ফরিদপুর সড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবোরোধ করে রাখার সময় তারা অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিচারসহ তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়। পরে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করেলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওবায়দুল বারী দিপু জানান, এ বছর ৪৪জন শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে ৩৬ জন পরীক্ষর্থী প্রবেশপত্র পেলেও ৮জনের প্রবেশপত্র দিতে পারেননি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ও আইসিটি শিক্ষক সোহেল রানা। ৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ঋতুপর্না নামের একজন বাদে অন্য ৭জন জেএসসি পরীক্ষায় পাস করেনি। ওই দুই শিক্ষক তাদের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে এতদিন ভুল বুঝিয়ে রেখেছিল। এমনকি সোহেল তাদেরকে জাল রেজিস্ট্রেশন কার্ডও দিয়েছে। কিন্তু চেক করে তাদের কোন তথ্য না পাওয়ায় প্রবেশপত্র দেয়নি বোর্ড কর্তৃপক্ষ। আবার ঋতুপর্নার কাছ থেকে টাকা নিলেও তার ফরমের টাকা জমা দেয়নি। যদিও স্কুলের লিস্টে তার নাম রয়েছে। এছাড়া সাথী নামে অপর এক শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশন কার্ড থাকলেও স্কুলের তালিকায় তার নাম বাদ পড়েছে। যে কারণে এদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বর্তমানে ওই দুই শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
মুন্নাফ ফকির নামের একজন অভিভাবক ওই দুই শিক্ষকের কঠোর শাস্তি দাবী করে প্রবেশপত্র না পাওয়াদের পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শিক্ষা মন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আজ ৮টি জীবন ধ্বংসের মুখে। তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় কে নিবে ?
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা বলেন, প্রবেশপত্র না পাওয়া পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঋতু ও সাথী নামের দুই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাকী ৬জনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তারা যাতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে ব্যাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা এ জালিয়াতি ও প্রতারণার সাথে যুক্ত তদন্ত করে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।