Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী আমেরিকানদের তিন সংগঠনের বর্ষবরণ ও বার্ষিক নৈশভোজ অনুষ্ঠান

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের মাইনরিটি দলের নেতা চাক শুমার বলেছেন, আমেরিকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশীদের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলাদেশী আমেরিকানদের তিন সংগঠন নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম, নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম এবং নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাব আয়োজিত নবম বার্ষিক নৈশভোজ ও ২০২০ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সময় গত শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্সের একটি পার্টি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট সিনেটর চাক শুমার আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে বাংলাদেশীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ বাড়বে। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে আমরা অভিবাসন আইন ঢেলে সাজাবো, কারণ আমরা অভিবাসনে বিশ্বাসী।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো ফলাফল করায় বাংলাদেশী ছেলে-মেয়েদের প্রশংসা এবং বাংলাদেশীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে সমর্থন কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলম, আয়োজক তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মোর্শেদ আলম এবং উপদেষ্টা ও নেতৃবৃন্দ সিনেটর চাক শুমারকে ‘বছরের সেরা সিনেটর’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। গ্রেস মেংসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কংগ্রেসম্যান এবং নিউইয়র্কের বাংলাদেশের কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল ও বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা ‘মুজিববর্ষ’ আলোকে বিস্তারিত অবহিত করেন তার বক্তব্যে। নানা কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে দীপ্ত প্রত্যয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে সেটি উল্লেখ করলে সিনেটর শুমার তাকে অভিনন্দিত করেন। তিনি প্রবাসীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করায় কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা সিনেটরকে ধন্যবাদ জানান।
পল, নূসরাত এবং উদিসার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মোর্শেদ আলম, ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলম এবং নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আল আমিন। উইমেন ফোরামের পক্ষে বক্তব্য দেন নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট শিরিন কামাল এবং নির্বাহী পরিচালক রুমানা জেসমীন।
কমিউনিটিতে সাফল্যের জন্য বাংলাদেশী কয়েকজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে। তাদের মধ্যে ছিলেন ‘বছরের সেরা বিজ্ঞানী’ হিসেবে ড. জিনাত নবী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অপরিসীম অবদানের জন্যে মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, বছরের সেরা বাংলাদেশী-আমেরিকান রাজনীতিক হিসেবে হেলালুল করিম, ‘নিউ আমেরিকান লিডার’ হিসেবে মোঃ শাহনেওয়াজ, এবং ‘নারী উদ্যোক্তা’ হিসেবে শায়লা আজিম প্রমুখকে।
অনুষ্ঠানে নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম ও নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরামের উপদেষ্টা এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইউএসএ-এর মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরামের সহ-সভাপতি মিসেস কুমকুম বেগমসহ বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।