Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় নানা কর্মসূচী পালিত

॥চঞ্চল সরদার॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গতকাল ১১ই জানুয়ারী বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক স্থিরচিত্র ও আতশবাজী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য রালী। র‌্যালীটি মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, অন্যান্যের মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আবুল হোসেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইকবাল হাসান, খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম লাল ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল জলিল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আতাহার আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, জাতির জন্য ২০২০ সাল অন্য রকম গুরুত্বপূর্ণ একটা বছর। কারণ আমরা পুরো একটি বছর মুজিববর্ষ উদযাপন করবো। জাতির জনক বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয়ী হয়ে স্বাধীনতা লাভ করি। আমাদের জাতির পিতা ’৭১-এর ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রায় সাড়ে ৯মাস তিনি পাকিস্তানের জেলে বন্দী ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেলেও তিনি বন্দী থাকায় মানুষের মনে ভয় ছিল। ’৭২-এর ৮ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু মুক্ত হলে সেই ভয়ের অবসান হয়। মুক্ত হওয়ার পর লন্ডন-দিল্লী হয়ে ১০ই জানুয়ারী তিনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। লাখ লাখ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে তাকে বরণ করে নেয়। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ১০ই জানুয়ারী থেকেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিববর্ষের কাউন্ট ডাউন (ক্ষণগণনা) শুরু করেছি। আগামী ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন থেকে বর্ষব্যাপী মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবো।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবো। ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধি দেশের যে পরিকল্পনা সেটাও নিশ্চয়ই অর্জন করতে পারবো। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই একসাথে কাজ করবো।
আলোচনা সভার পাশাপাশি একই স্থানে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও বিকালে একই স্থানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ এবং সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আতশবাজী ফোটানো হয়।