॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এডভোকেট আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর পুত্র রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং ম্যানেজমেন্ট ও আইসিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গোলাম মোস্তফা চৌধুরী অবসর গ্রহণ করেছেন।
গতকাল ৯ই জানুয়ারী দুপুরে কলেজের পক্ষ থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলীপ কুমার করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর একরামুল কবির, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর নূরুজ্জামান এবং গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু’র সহধর্মিনী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় মহিলা সংস্থার রাজবাড়ী জেলা শাখার চেয়ারম্যান তানিয়া সুলতানা কংকনসহ কলেজের শিক্ষক মন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। এরআগে গত ৮ই জানুয়ারী কলেজের ম্যানেজমেন্ট ও আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ১৯৮৯ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রভাষক হিসেবে তৎকালীন রাজবাড়ী আদর্শ মহিলা কলেজে যোগদান করেন। ২০১০ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার এস.কে কলেজে বদলী করা হয়। সেখানে ১৫দিনের মতো চাকুরী করার পর ‘ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ হিসেবে মাউশি’র (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর) মহাপরিচালকের কার্যালয়ে বদলী হন। সেখানে যোগদানের ৮মাস পর তাকে আবার আদর্শ মহিলা কলেজে দায়িত্ব দিয়ে সংযুক্তি প্রদান করা হয়। ১বছর পর তৎকালীন সংসদ সদস্য (বর্তমানেও সংসদ সদস্য) আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর সহযোগিতায় ‘সহযোগী অধ্যাপক’-এর পদ সৃষ্টির মাধ্যমে তাকে নিয়োগদান করা হয়। নিষ্ঠার সাথে কলেজে শিক্ষকতা করাকালে তিনি ম্যানেজমেন্ট ও আইসিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পাশাপাশি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক হিসেবেও সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু ১৯৬১ সালের ১২ই জানুয়ারী ঢাকার ৪১/৪২ রূপচাঁদ লেন, বাংলাবাজারের নানা বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার নানা মরহুম মোসলেম আলী মোল্লা এবং পিতা মরহুম এডভোকেট আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী একই সাথে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। রাজবাড়ী টাউন মক্তব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি ১৯৭৮ সালে রাজবাড়ী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি, এরপর রাজবাড়ী সরকারী কলেজ থেকে ১৯৮০ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাসের পর দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৮৫ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১পুত্র ও ২কন্যা সন্তানের জনক। তার সহধর্মিনী তানিয়া সুলতানা কংকন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার রাজবাড়ী জেলা শাখার চেয়ারম্যান। তার বাবার বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের আল মাহমুদ এভিনিউতে। ১৯৮৯ সালের ৪ঠা মার্চ তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
অধ্যাপক রন্টু চৌধুরীর ৫ভাই-বোনের মধ্যে বড় ভাই সেলিম রেজা চৌধুরী ব্যবসায়ী, বড় বোন রোকসানা আনোয়ার মিনু ঢাকায় বসবাসকারী গৃহিনী, ছোট বোন সেলিনা চৌধুরী ঢাকায় বসবাসকারী গৃহিনী এবং আরেক ছোট বোন সালমা চৌধুরী রুমা সংরক্ষিত মহিলা আসন (৩৩৪-ফরিদপুর) এর সংসদ সদস্য।
শিক্ষকতার চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণের গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু বলেন, মরহুম এডভোকেট আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী তার সন্তান হিসেবে আমিও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করতে চাই এবং আমৃত্যু দল, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।