Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

শীতে গ্রাম-বাংলার মানুষের উৎসবের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ খেজুরের রস

॥নজরুল ইসলাম তোফা॥ শীতকালে গ্রাম-বাংলার মানুষের উৎসবের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ খেজুরের রস। খেজুরের রসের পিঠা আবহমান কাল ধরে বাংলার ঘরে ঘরে সমাদৃত।
খুব ভোরে গাছীরা খেজুর গাছ থেকে রসের হাড়ি নামিয়ে আনেন। সদ্য পেড়ে আনা রস পানের সাথে কোন কিছুরই তুলনা চলে না। এই রস খাওয়ার পর শীত যেন আরো জাঁকিয়ে বসে। তারপর খড়-কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেয়া কিংবা রোদ পোহানো যে কতো মজার-আনন্দের তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। রস জ্বাল দিয়ে তৈরী হয় গুড়। সেই গুড়েরও আবার রকমফের আছে। যেমন-পাটালী গুড়, ঝোলা গুড়। পাটালী গুড়ের তৈরী পিঠা না খেলে যেন জীবনই বৃথা।
গাছীরা জানান, খেজুর গাছ ৬/৭ বছর বয়স থেকে রস দেয়া শুরু করে। ২৫/৩০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। গাছ পুরনো হয়ে গেলে রস কমে যায়। তবে পুরনো খেজুর গাছের রস খুব মিষ্টি হয়। মাঝ বয়সী গাছ থেকেই সবচেয়ে বেশী রস পাওয়া যায়। কার্তিক মাসে খেজুর গাছ কাটা শুরু হয়। রসের ধারা চলতে থাকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। শীতের সঙ্গে রস ঝরার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। শীত যতো বেশী পড়বে, তত বেশী রস ঝরবে। রসের স্বাদও ততো মিষ্টি হবে। অগ্রহায়ন, পৌষ ও মাঘ মাস হলো রসের ভর মৌসুম।