॥স্টাফ রিপোর্টার॥ নিজের ভিক্ষের টাকা দিয়ে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় কোরআন শরীফ কিনে দান করেন খাদেজা বেগম। এ পর্যন্ত তিনি ১০১ খানা কোরআন শরীফ দান করেছেন।
খাদেজা বেগমের নিজের কোন ঘর বাড়ী নেই। থাকেন রাজবাড়ী শহরের কাহারপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়ীতে। স্বামী জোনাব আলী মারা গেছেন অনেক আগেই। দুই পুত্র সন্তান থাকলেও তারা কোথায় তা ঠিকমত বলতে পারেন না তিনি। মেয়ে রুকিয়া বেগমকে সাথে নিয়েই তার বসবাস। তার ভিক্ষের টাকায় চলে তাদের সংসার।
খাদেজা বেগমের বয়স ১০০ বছর হলেও বয়স্কভাতার কার্ডও নেই তার। এমনকি কোন প্রকার সরকারী সহযোগিতাও জুটে না তার কপালে। কিন্তু এতে তার কোন আক্ষেপও নেই। বরং নিজের ভিক্ষের টাকায় কোরআন শরীফ কিনে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় দান করে শান্তি পান বলে দাবী করেন এই বৃদ্ধা।
খাদেজা বেগম বলেন, নিজের ভিক্ষা করা উপার্জন থেকে কখনো খেয়ে আবার কখনো না খেয়ে টাকা জমিয়ে তিনি কোরআন শরীফ কিনেন। আর সেই কোরআন শরীফ বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় দান করেন। না খেয়ে থেকেও তার কোন কষ্ট লাগেনা। শুধু তাই নয় নিজের জিন্দা ফয়তা করাসহ কাফনের ৫ টকুরো সাদা কাপড়ও ঘরে রেখেছেন শত বছর বয়সী খাদেজা বেগম। যত দিন বেঁচে থাকবেন এ কাজটি করে যেতে চান এই নারী।
রাজবাড়ী শহরের পৌর মিলিনিয়াম ইংলিশ মার্কেটের শহীদ বুক ডিপো লাইব্রেরীর মালিক জাহিদ হাসান জানান, তার লাইব্রেরী থেকেই খাদেজা বেগম কোরআন শরীফ গুলো কিনেছেন।
তিনি বলেন, একবার ৫হাজার টাকার কোরআন শরীফ কিনেন এই বৃদ্ধা। এ পর্যন্ত তিনি তার দোকান থেকে ২০ হাজার বা তারও বেশি টাকার কোরআন শরীফ কিনেছেন।
খাদেজা বেগম বয়সের ভারে চলাফেরাও ঠিক মতো করতে পারেন না। তারপরও তিনি ভিক্ষা করছেন এবং কখনো খেয়ে কখনো না খেয়ে টাকা জমিয়ে কোরআন শরীফ কিনে দান করে যাচ্ছেন। একালে তিনি কি পেলেন, না পেলেন তার কোন হিসেব নেই তার কাছে। তবে পরোকালে এর প্রতিদান পাবেন এমন আশা করেন এই নারী।