Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে -ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার

॥মাহাবুব পিয়াল॥ ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা ভিক্ষুক শব্দটি আর ব্যবহার করব না। এটা প্রধানমন্ত্রী ও স্পীকারের কথা। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করার জন্য আমাদের সমন্বিত উদ্যেগ গ্রহন করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের মধ্যে ভিক্ষুক মুক্ত করতে চান, এজন্য আমাদের পুনর্বাসন করা প্রয়োজন।
গতকাল ১০ই মে দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের জেলা সমূহের সমন্বয়ে ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমরা এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলো ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভিক্ষুক মুক্ত একটি দেশ উপহার দেওয়া। বাংলাদেশে এখন খাদ্যের অভাব নেই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন। তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে যে সকল কার্যক্রম গুলো হাতে নিয়েছেন এগুলোর মধ্যে ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন তিনি বলেন বাংলাদেশ সরকার জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রত্যেকে বিধবা ভাতা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এছাড়া বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন। দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করছেন। সরকারের পক্ষে থেকে একটি বিশাল সোসাল সেফটি নেটওয়ার্কের মধ্যে এগুলো আনা হচ্ছে। এরপরও যদি কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করে বা ভিক্ষা পেশাটাকে বেছে নেয় তাহলে এটা আমাদের জন্য একটা লজ্জাজনক ব্যাপার।
তিনি বলেন এমন কিছু ভিক্ষুক আছে যাদের ভিক্ষাটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাদের অন্য পন্থায় এনে পুনর্বাসন করতে হবে। এছাড়া যারা অত্যান্ত দরিদ্র, সহায় সম্বলহীন, যাদের নিজস্ব কোন জায়গা জমি নেই, তাদের ভিক্ষা না করলে চলে না এদের একটি পুনবার্সন করতে হবে। যারা অল্পস্বল্প ভিক্ষা করে চলে তাদের একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ন প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম এগুলোর মাধ্যমে আমাদের পুনর্বাসন করতে হবে। পুনর্বাসন করার জন্য সরকার আমাদের কিছু ফান্ডও দেবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ভিক্ষুকদের জন্য একটি করে একাউন্ট খোলারও নির্দেশ দিয়েছেন। কিছু কিছু উপজেলায় কাজ শুরু করে দিয়েছে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক সরকার মোখলেসুর রহমান, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক জিনাত আরা, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস এবং ভিক্ষুকমুক্ত করণের উদ্যেক্তা নড়াইল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান।
এছাড়া সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা সমাজসেবা অফিসার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরের উদ্ধর্তন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।