॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশার সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি আজমল হোসেন অর্থ সংকটে হার্টের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত এই গুণী শিল্পী দীর্ঘদিন যাবত বুকের ব্যথা নিয়ে সঙ্গীত চর্চা করছেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার হার্টে দু’টি ব্লক ধরা পড়েছে। প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদের অধীনে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। বর্তমানে ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্ডিওলোজির চিফ কনসালটেন্ট ডাঃ মোমেনুজ্জমানের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
আজমল হোসেন পাংশার যশাই ইউপির মরহুম সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ১৯৮৪ সালে পাংশা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত শিক্ষক স্বপন দত্তের মাধ্যমে তার সঙ্গীতে হাতেখড়ি। তার লোক সঙ্গীতের গুরু কুষ্টিয়ার বারাদি গ্রামের বিজন কুমার দাস। বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রের পল্লীগীতি ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের আধুনিক গানের ‘গ’ শ্রেণি ভুক্ত শিল্পী হলেও আধুনিক গান, লোকসঙ্গীত, রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীত ও বাউল গানেও তার দক্ষতা রয়েছে। এলাকায় জনপ্রিয় একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তার সুনাম ও সুপরিচিতি রয়েছে।
কণ্ঠশিল্পী আজমল হোসেন জানান, ২০১৮ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ বেতার এবং ২০১২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত হন তিনি। সর্বশেষ গত ২২শে নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ বেতার ঢাকা ‘খ’ এফএম ১০৬ থেকে তার কণ্ঠে “ছারিলাম হাছন রাজার নাওরে” এবং “দয়া করে এসো দয়াল এই অধীনের হৃদবাঝারে” দু’টি গান সম্প্রচার করা হয়।
এদিকে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বহুকষ্টে সঙ্গীত চর্চা করছেন তিনি। চিকিৎসক সার্জারী করার পরামর্শ দিলেও অর্থ সংকটের কারণে তা করাতে পারছেন না। প্রতিদিন তার নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়। সাংসারিক খরচ, ঢাকায় এমকম অধ্যয়নরত পুত্র শামসুদ্দোহা বাপ্পী ও পাংশা সরকারী কলেজে অনার্স পড়ুয়া কন্যা ফারজানা আকতারের খরচ যোগানোসহ চিকিৎসা ব্যয়ভারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারলে ৫৩ বছর বয়সের এই কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গীত চর্চা স্তিমিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উন্নত চিকিৎসার জন্য হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা ঃ আজমল হোসেন, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর : ৩৪০০৪৮২৮, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, পাংশা উপজেলা কমপ্লেক্স শাখা, রাজবাড়ী।