Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

মীর মশাররফ হোসেনের আজ ১৭২ তম জন্মবার্ষিকী

॥সোহেল মিয়া॥ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী ধারার প্রবর্তক একবিংশ শতাব্দীর মুসলিম প্রতিভা বাংলা সাহিত্যের অমর দিকপাল কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ-সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের আজ ১৭২ তম জন্মবার্ষিকী।
১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়ায় বাবা সৈয়দ মীর মুয়াজ্জম হোসেন ও মা দৌলতন নেছার ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯১১ সালের ১৯শে ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর এখানেই মহান এই মনীষীকে সমাহিত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে মীরের সমাধীস্থল রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে বাংলা একাডেমি দুইদিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মীর মশাররফ হোসেনের একক গ্রন্থমেলা।
বাংলা একাডেমির প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফয়সল আমিন জানান, দিবসটিকে ঘিরে সাহিত্য স¤্রাট মীর মশাররফ হোসেনের সমাধীস্থলে বাংলা একাডেমি মীরের সাহিত্য ও কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রন্থমেলার আয়োজন করেছে।
বাংলার একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম।
১৩ ও ১৪ নভেম্বর দুইদিন স্মৃতিকেন্দ্রে গ্রন্থমেলা ও সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। গ্রন্থমেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
এছাড়াও মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রী কলেজ, মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও দিবসটিকে ঘিরে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করবে।
তাঁর লেখা উপন্যাস ‘উদাসী পথিকের মনের কথা’ (১৮৯০), ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’, ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩), আতœকাহিনীমূলক রচনাবলী ‘আমার জীবনী’, ‘বিবি কুলসুম’ (১৯১০), সহ বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭ টি বই বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি।