॥সোহেল মিয়া/দেবাশীষ বিশ্বাস॥ বালিয়াকান্দি বাজারের মধ্যকার সড়কগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরেছে। যে সড়কগুলো একসময় ছিল বিশৃঙ্খলায় ভরা, সেই সড়কগুলো এখন শৃঙ্খলার মধ্যে এসেছে।
এটা সম্ভব হয়েছে বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদার সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে।
তিনি বাজার কমিটির সাথে কথা বলে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তরুণ বয়সী দুইজন লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন। বাঁশি মুখে, লাঠি হাতে তাদের তৎপরতায় সড়কগুলোতে এখন আর বিশৃঙ্খলা নেই বললেই চলে।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে বালিয়াকান্দি বাজারের চৌরাস্তা ও তালপট্টিতে সড়কের উপরেই ছিল বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ড। সড়কের উপর দাঁড়িয়েই চালকরা যাত্রীদের উঠাতো ও নামাতো। যার কারণে সাধারণ পথযাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হতো। অধিকাংশ সময়ই লেগে থাকতো যানজট। এখন গুরুত্বপূর্ণ এই দুই জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করায় সড়কগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। যানজটও আর হচ্ছে না। এতে পথচারী ও সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গতকাল ৬ই অক্টোবর দুপুরে বালিয়াকান্দি বাজারের চৌরাস্তা ও তালপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, সড়কগুলো পুরো ফাঁকা। নেই কোন যানজট। ছোট গাড়ীগুলো নির্বিঘেœ বাজার অতিক্রম করছে। দুই জায়গায় দুইজন যুবক দায়িত্ব পালন করছে। কোন গাড়ী সড়কের উপর দাঁড়ালেই তারা বাঁশি বাজিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিচ্ছে।
পথযাত্রী রাজীব হায়দার বলেন, আমি প্রতিদিনই এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। চৌরাস্তা এলাকায় অটো রিক্সা ও ব্যাটারী চালিত ভ্যানের কারণে আমাকে প্রতিনিয়ত এখানে ভোগান্তি পোহাতে হতো। শুনেছি ওসি সাহেব নাকি উদ্যোগ নিয়ে এটা করেছেন। সত্যি অনেক ভালো একটি কাজ হয়েছে।
এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, বালিয়াকান্দি বাজারের ওই ২টি জায়গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেখানে সড়কের উপর অটো রিক্সা ও ব্যাটারী চালিত ভ্যানের স্ট্যান্ড বানানো হয়েছিল। ফলে যানজট লেগে থাকতো। জনগণের দুর্ভোগ নিরসনের জন্য বাজার কমিটির সাথে কথা বলে দুইজন লোক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। তাদের প্রধান কাজ রাস্তার উপর কোন গাড়ীকে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাতে-নামাতে না দেয়া।