॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধকালীন গোয়ালন্দ সাব-ডিভিশনের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই দক্ষতা ও নেতৃত্বের নানা গুণাবলীর দৃষ্টান্ত রেখেছেন।
ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ডকুমেন্টারী হেরিটেজ-বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাঙালী জাতিকে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর আহবানে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে নিজেকে গর্ববোধ করার অভিমত ব্যক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি।
গতকাল ৩০শে অক্টোবর দুপুরে পাংশা শহরের কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। নতুন প্রজন্মকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তথ্য জানানোর প্রয়াসকে বর্তমান সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র মোতাবেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি শীর্ষক অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন।
কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমীর ৭ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপির আলোচনায় সাক্ষাৎকার মূলক এ অনুষ্ঠানটি প্রানবন্ত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমীর ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সালসাবিল মাহি।
অনুষ্ঠানে পাংশা পৌরসভার মেয়র আব্দুল আল মাসুদ বিশ্বাস, পাংশা গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ এবিএম ওয়াহিদুজ্জামান ডাব্লু, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শহিদুজ্জামান শহীদ বিশ্বাস, কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মুহাঃ শাহাদত আলী, শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কাশেম, কাজী আসকার দানিয়েল সীপারসহ একাডেমীর শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।