Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী এলজিইডিতে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীতে এলজিইডির ‘ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প-২য় পর্যায় (এসএসডব্লিউআরডি-২) এর আওতায় প্রকল্পের কার্যাবলী এবং উপ-প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ২৮শে অক্টোবর দিনব্যাপী রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীমের সভাপতিত্বে সকালে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এলজিইডির ফরিদপুর অঞ্চলের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ সহিদুল হক এবং অতিথি হিসেবে নির্বাহী প্রকৌশলী বিমল কুমার দাশ, কৃষিবিদ ড. কিউ আর ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালার বিভিন্ন বিষয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন প্রকল্পের টিম লিডার ইরোজিরো সেকিগোসি, এলজিইডি’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী উজ্জ্বল ত্রিপুরা, জয়নাল আবেদীন, জেন্ডার ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট আইরিন সুলতানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এলজিইডির সমাজ বিজ্ঞানী মোঃ জালাল উদ্দিন।
এলজিইডির ফরিদপুর অঞ্চলের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ সহিদুল হক বলেন, মৎস্য খাতে কীভাবে উন্নতি করা যায় সেটা প্লান করে কাজ করতে হবে। এদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। আগে দেশী প্রজাতির অনেক মাছ পাওয়া যেত হাটে-বাজারে, কিন্তু এখন অনেক মাছই পাওয়া যায় না। আমাদের কৃষকদের কী কী সমস্যা আছে সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই অনুযারী কাজ করতে হবে। দেখা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলায় পেঁয়াজ ভালো হয়। কিন্তু কৃষকদের আবার সেখানে সমস্যাও আছে- যেমন মাঠে পানি জমে পেঁয়াজ নষ্ট হয়। ওই ফসল রক্ষা করার জন্য সেখানে কাজ করতে হবে। জেন্ডার বিকাশ ঘটাতে হবে-না হলে দেশের উন্নতি কখনো সম্ভব না। পুরুষদের সাথে নারীদেও এগিয়ে যেতে হবে সমান তালে।
সভাপতির বক্তব্যে রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম বলেন, জাইকা’র অর্থায়নে এই প্রকল্পের অধীনে গত ৪বছরে রাজবাড়ীতে ২৩টি খাল ও ৫৬টি পুকুর খনন করা হয়েছে। সামনে আরো ১২টি খাল খনন করা হবে। প্রকল্পটা এলজিইডিসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের একটা প্লাটফর্ম। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে সুন্দরভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে মৎস্যজীবীসহ সাধারণ জনগণ উপকৃত হচ্ছে। খাওয়ার ও চাষেরসহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত পানির প্রাপ্যতা দিন দিন কষ্টসাধ্য হচ্ছে। এখন আমাদেরকে পানি কিনে খেতে হচ্ছে, যা মাত্র কয়েক বছর আগেও চিন্তায় ছিল না। এ জন্য আমাদেরকে পানির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনভাবেই পানির অপচয় করা যাবে না। প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে। তাহলেই জাইকা ও সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পটির সুফল পাওয়া যাবে।
উদ্বোধন পর্বের শেষে প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত অবহিতকরণ, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এলজিইডির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা আভা রাণী সাহা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাঃ মজিনুর রহমান ও জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল হক সরদারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।