Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

সকলে মিলেমিশে দলকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে — এমপি জিল্লুল হাকিম

॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউপি আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল ২৭শে অক্টোবর বিকেলে সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে সাওরাইল ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম আলীকে সভাপতি ও গোলাম সরোয়ার ঠান্ডুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
সভাপতি পদে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মুক্তিযোদ্ধা আকামত আলী প্রার্থী ছিলেন।
অপরদিকে গোলাম সরোয়ার ঠান্ডু, আকমল হোসেন খান, আক্তার উজ্জামান, আমজাদ হোসেন, নুরুল ইসলাম নান্নু ও এসএম লিয়াকত হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন।
পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীরা প্রত্যেকে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলে সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান অতিথি রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম সভাপতি পদে সাওরাইল ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম সরোয়ার ঠান্ডুর নাম ঘোষণা করেন। উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকরা নতুন কমিটিকে স্বাগত জানায়।
সাওরাইল ইউপি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৈয়বুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি সকলে মিলেমিশে দলকে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানিয়ে বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা কে-কি করেছে তা আমাদের সকলেরই জানা আছে। তাই আমলনামা চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে নেতা নির্বাচন করা হবে।
এমপি জিল্লুল হাকিম বলেন, সাওরাইল ইউপিতে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি। আগামীতে সকলে মিলেমিশে দলকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলার দিক-নিদের্শনা প্রদান করেন তিনি।
এমপি জিল্লুল হাকিম দলীয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ে খুন-রাহাজানী, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজীর কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে পরিস্থিতি নেই। বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আইন-শৃঙ্খলা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এলাকায় উন্নয়নের পাশাপাশি অনেক কষ্টে তৃণমূলে দলকে সংগঠিত করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা ১৯৯৫ সালে আমার বাড়ীতে আক্রমণ করে। মুক্তিযুদ্ধের সময়সহ বিভিন্ন সময়ে আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে তারা। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে। দল ও সাধারণ মানুষের প্রতি আমার আস্থা আছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে।
বি-কয়া ক্যাম্প পুলিশের উদ্দেশ্যে এমপি জিল্লুল হাকিম বলেন, ক্যাম্পে একটি পিকাপ গাড়ীর ব্যবস্থা করা হবে। গাড়ী হলে পুলিশিং কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সাওরাইল ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আলী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মুক্তিযোদ্ধা আকামত আলী, রোস্তম আলী খান, তৌফিকুল ইসলাম তুহিন ও অভিজিৎ বিশ্বাস প্রমূখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। উপস্থাপনা করেন মৃগী শহীদ দিয়ানত ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আজিজুল ইসলাম, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান টিটো চৌধুরী, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য খায়রুল ইসলাম খায়ের, ভাইস চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মজনু, কালিকাপুর ইউপির চেয়ারম্যান আতিউর রহমান নবাব, রতনদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমীন, মৃগী ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সাগর মোল্লা, পাট্টা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রব মোনা বিশ্বাস, মৃগী ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাদশা, কসবামাজাইল ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পিল্টু জোয়ার্দ্দার, মৌরাট ইউপি আওয়ামী লীগের নেতা বিশিষ্ট সমাজসেবী আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান মিয়া ও পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম মারুফসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাওরাইল ইউপি আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সাওরাইল ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম আলী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ঠান্ডু বিএনপির সঙ্গ পরিত্যাগ করে মিলেমিশে তৃণমূলে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলাসহ এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধে পুলিশকে সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।